Ad

জার্মানিতে উচ্চশিক্ষার সম্পূর্ণ প্রস্তুতি

জার্মান দূতাবাসে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিন এবং ইন্টারভিউর (ভিসা ইন্টারভিউতে সাধারণত শিক্ষার্থীর উদ্দেশ্য, পরিকল্পনা এবং আর্থিক সামর্থ্য সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়) জন্য প্রয়োজনীয় নথি প্রস্তুত করুন।

শিক্ষা ডেস্ক
প্রকাশ : ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬: ১৯
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭: ১৪

জার্মানিতে উচ্চশিক্ষার প্রথম পর্বে বিশ্ববিদ্যালয়, প্রোগ্রাম নির্বাচন ও আবেদনপ্রক্রিয়ার ধাপগুলো আলোচনা করা হয়েছে। আজকের পর্বে থাকছে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তি নিশ্চায়ন পাওয়ার পরের ধাপ, স্টুডেন্ট ফাইল খোলা, যাত্রা ও পৌঁছানোর পরের প্রস্তুতি নিয়ে।

স্টুডেন্ট ফাইল

ভিসা আবেদন ও আনুষ্ঠানিক কাজের জন্য ব্যক্তিগত, শিক্ষাগত এবং আর্থিক নথি সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হয়।

স্টুডেন্ট ফাইলে যা থাকবে

ব্যক্তিগত নথি: পাসপোর্ট, জন্মসনদ।

শিক্ষাগত নথি: সনদপত্র, ভর্তি নিশ্চিতকরণ।

আর্থিক নথি: ব্লকড অ্যাকাউন্টের কনফার্মেশন, স্পনসর লেটার।

স্বাস্থ্যবিমার নথি।

খোলার ধাপ

নথিপত্র সংগ্রহ ও সাজানো।

প্রয়োজনীয় কপি তৈরি ও লেবেলিং।

ব্যবহারের উদ্দেশ্য

ভিসা ইন্টারভিউ।

বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রেশন।

বাসস্থান রেজিস্ট্রেশন।

স্বাস্থ্যবিমা সক্রিয় করা

পাবলিক বা প্রাইভেট স্বাস্থ্যবিমার চুক্তি করুন। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও ভিসার জন্য বাধ্যতামূলক।

জার্মানিতে উচ্চশিক্ষার সম্পূর্ণ প্রস্তুতিজার্মানিতে উচ্চশিক্ষার সম্পূর্ণ প্রস্তুতি

ভিসার জন্য আবেদন

জার্মান দূতাবাসে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিন এবং ইন্টারভিউর (ভিসা ইন্টারভিউতে সাধারণত শিক্ষার্থীর উদ্দেশ্য, পরিকল্পনা এবং আর্থিক সামর্থ্য সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়) জন্য প্রয়োজনীয় নথি প্রস্তুত করুন।

ভিসা আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় নথি

ভিসা আবেদন ফরম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি নিশ্চয়তাপত্র।

আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণপত্র: ব্লকড অ্যাকাউন্টে €11208 (১৪ লাখ ৪৪ হাজার ২৬২ টাকা) ডিপোজিট থাকা। পিতামাতার আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ।

স্বাস্থ্যবিমার প্রমাণপত্র

পাসপোর্টের কপি।

পাসপোর্ট সাইজ ছবি (৩-৪টি)।

ভাষা দক্ষতার প্রমাণপত্র।

ভিসা আবেদনপ্রক্রিয়া

জার্মান দূতাবাস বা কনস্যুলেট থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিন।

ভিসা ইন্টারভিউর জন্য প্রস্তুতি নিন।

প্রয়োজনীয় নথি জমা দিয়ে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন।

এবার চূড়ান্ত ভিসার ই-মেইল পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন।

জার্মানিতে যাত্রার প্রস্তুতি

ভিসা পাওয়ার পরপরই যাত্রার প্রস্তুতি শুরু হবে।

ভ্রমণের আগে করণীয়

ফ্লাইট বুকিং করুন।

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট যেমন পাসপোর্ট, ভিসা ও ভর্তি নিশ্চয়ান ফরম সঙ্গে রাখুন।

বাসস্থানে পৌঁছানোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন।

জার্মানিতে পৌঁছানোর পর করণীয়

জার্মানিতে পৌঁছে আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কাজ সম্পন্ন করতে হবে।

বাসস্থান রেজিস্ট্রেশন: জার্মানিতে পৌঁছে প্রথম দুই সপ্তাহের মধ্যে আপনার বাসস্থান স্থানীয় সিটি অফিসে (Bürgeramt) রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা: দৈনন্দিন ব্যয়ের জন্য স্থানীয় ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট খুলুন। এ ছাড়া ব্লকড অ্যাকাউন্ট সক্রিয় করতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিমা চালু করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে নাম নিবন্ধন: বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে চূড়ান্ত ভর্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন এবং স্টুডেন্ট আইডি সংগ্রহ করুন।

স্টুডেন্ট ফাইল প্রস্তুত করুন: একটি সুশৃঙ্খল স্টুডেন্ট ফাইল তৈরি করুন। যেখানে সব গুরুত্বপূর্ণ নথি যেমন পাসপোর্ট, ভিসা, ব্লকড অ্যাকাউন্টের নথি ও স্বাস্থ্যবিমার প্রমাণপত্র থাকবে।

এটি ভিসা নবায়ন এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কাজের জন্য প্রয়োজন হবে।

কেন জার্মানিতে পড়াশোনা

শিক্ষা ও ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ: জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা শুধু একাডেমিক শিক্ষার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এখানে বিভিন্ন ডুয়াল প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা হাতে-কলমে কাজ শিখতে পারেন।

ইন্টার্নশিপ ও চাকরি: জার্মানিতে পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করার সুযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীরা প্রতি সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করতে পারেন। ডিগ্রি সম্পন্ন করার পরও তাঁরা স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে ব্যাপক কাজের সুযোগ পান। জার্মানিতে থাকার সময় কাজ করার সুযোগ রয়েছে। তবে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বছরে ১২০ পূর্ণ দিন বা ২৪০ অর্ধদিন কাজ করার সীমা নির্ধারিত রয়েছে।

শিক্ষা ও কর্মজীবন: জার্মানিতে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি পার্টটাইম কাজ করতে পারেন। পড়াশোনা শেষে তাঁদের স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে কাজের সুযোগ রয়েছে।

জার্মানিতে উচ্চশিক্ষার যাত্রা একটি দীর্ঘ ও পরিকল্পিত প্রক্রিয়া। তবে সঠিক প্রস্তুতি এবং নির্দেশনা অনুসরণ করলে এটি সহজ ও ফলপ্রসূ হবে। জার্মানির উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা এবং কর্মজীবনের সুযোগ আপনাকে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার সুযোগ দেবে।

বিষয়:

শিক্ষা
ad
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত