শীতের সকাল বেলায় কুয়াশার চাদর কেটে যেতে শুরু করে। পূর্বদিক থেকে সূর্য উদিত হলেও কুয়াশা না কাটা পর্যন্ত তাকে ভালো করে দেখা যায় না। আস্তে আস্তে বিরাট একটি লাল বর্ণের থালার মত পূর্ব দিগন্তে উদয়াচলের শীর্ষভাগ দেখা যায়। রোদ উঠে। রোদ পোহানোর জন্য মানুষ খুবই ব্যস্ত হয়ে পড়ে। শীতকালের রোদের মতো এত আরামদায়ক রোদ আর কখনও দেখা যায় না।
রুমান হাফিজ
আমাদের দেশে ছয়টি ঋতুর মধ্যে শীতকাল অন্যতম। হেমন্তের পর আগমন করে শীতকাল। ঋতু বিভাজনে পৌষ ও মাঘ মাস শীতের জন্য বরাদ্দ হলেও প্রকৃতিতে শীত থাকে তিন-চার মাস। সাধারণত ইংরেজি নভেম্বর মাস থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত শীত অনুভূত হলেও মধ্য ডিসেম্বর থেকে মধ্য ফেব্রুয়ারি এই দুই মাস শীতকাল। শীত আমাদের প্রকৃতির বৈচিত্র্যময় রূপের একটি। রাতে পাতায় পাতায় কুয়াশা পড়ে। গাম্ভীর্যময় বৈশিষ্ট্যের জন্য শীতের সকাল বছরের অন্য ঋতুর থেকে স্বতন্ত্র। তাইতো কবি সুকান্ত বলেছেন, ‘শীতের সকাল/দরিদ্রের বস্ত্রের আকাল/শীতের সকাল/অসাম্যের কাল/ধনীর সুখ আর আনন্দ/ শ্রেণি সংগ্রাম এ নিয়ে চলে দ্বন্দ্ব।’
শীতের পরিবেশঃ
শীতের সকাল বেলায় কুয়াশার চাদর কেটে যেতে শুরু করে। পূর্বদিক থেকে সূর্য উদিত হলেও কুয়াশা না কাটা পর্যন্ত তাকে ভালো করে দেখা যায় না। আস্তে আস্তে বিরাট একটি লাল বর্ণের থালার মত পূর্ব দিগন্তে উদয়াচলের শীর্ষভাগ দেখা যায়। রোদ উঠে। রোদ পোহানোর জন্য মানুষ খুবই ব্যস্ত হয়ে পড়ে। শীতকালের রোদের মতো এত আরামদায়ক রোদ আর কখনও দেখা যায় না। রোদ ওঠার সাথে সাথেই কুয়াশা পালাতে শুরু করে। মূর্ছাপ্রান্ত পৃথিবীতে আনন্দ সংগীত বেজে ওঠে। কেউ কেউ রোদ না পোহায়ে খড় কুটা দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে আগুন পোহায়। শীতের আসল সৌন্দর্য দেখতে হলে আপনিও যেতে পারেন গ্রামে। কুয়াশার চাদরে আবৃত করে থাকা গ্রামীণ দৃশ্য ধরা পড়া সকালের মিষ্টি রৌদ্রময় সময়ের অপেক্ষা করার অনুভূতিগুলো। কুয়াশাচ্ছন্ন প্রকৃতি শিশির সিক্ত রাস্তাঘাট, হিমেল বাতাসের মিষ্টি মধুর আমেজ শীতকালে এক ভিন্ন রূপ বয়ে নিয়ে আসে।
ফলে ফুলে ভরপুরঃ
শীত মৌসুমে ফুলকাননের যেসব ফুল মানুষের মনকে মুগ্ধ করে তার মধ্যে ডালিয়া অন্যতম। লাল, চকোলেট, হলুদ, সাদা, গোলাপি, বেগুনি প্রভৃতি বর্ণের ডালিয়ার পাপড়ির সৌন্দর্য আর চমৎকার বিন্যাস সহজেই মানুষকে মুগ্ধ করে। কৃষ্ণকলি শীত মৌসুমের নিজস্ব ফুল। এ ফুল সাদা আর গোলাপি রঙের হয়ে থাকে। শীত মৌসুমের আরেক ফুল কসমস। এ ফুল সাদা, লাল বা গোলাপি বর্ণের হয়। এ ছাড়া শীত মৌসুমের আরো যেসব জনপ্রিয় ফুল রয়েছে তার মধ্যে গ্যাজানিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদা, অ্যাস্টার, ডেইজি, সিলভিয়া, এন্টিরিনাম, ন্যাস্টারশিয়াম, প্যানজি, ডায়ান্থাস, ফ্লক্স, ভারবেনা, কারনেশান, পপি, সূর্যমুখী, পর্টুলেকা, ক্যালেন্ডুলা, হলিহক, মর্নিং গেন্ডারি, সুইট পি, অ্যাজালিয়া, জারবেরা, গ্ল্যাডিওলাস পিটুনিয়া অন্যতম। বারান্দা বা গ্রিলে ঝোলানো টবে লাগানোর জন্য পিটুনিয়া, ন্যাস্টারশিয়াস, অ্যাস্টার, ভারবেনা ইত্যাদি উত্তম। গ্রিলে লতিয়ে দেওয়ার জন্য নীলমণি লতা, মর্নিং গেন্ডারি, রেল লতা, সুইট পি ভালো। এসব ফুলের রূপ সৌন্দর্য, পরশ মানুষের মনে দারুণ অনুভূতির জন্ম দেয়।
শীতকালে টাটকা শাকসবজি ও তরকারি পাওয়া যায়। মুলা, গাজর, লাউ, কুমড়া, রসুন, পেঁয়াজ, কলাই, সরিষা, শালগম, আলু, পালংশাক, বেগুন, শিম, বরবটি, মটরশুঁটি, ফুলকপি, বাঁধাকপি প্রভৃতি শীতকালীন সবজি ও ফসলের দৃশ্য গ্রামবাংলার ক্ষেতে ক্ষেতে দেখলে মন ভরে ওঠে। শীতকালে গোলাপ, অশোক, ক্যামেলিয়া, বাগানবিলাস ও কুরচি প্রভৃতি ফুল ফোটে। শিং, জাগুর, শৈল ও বোয়ালসহ বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু জিয়ল মাছ শীত মৌসুমে বেশ মিলে।
শীতের পিঠাপুলিঃ
বাংলার শীতকাল আর পিঠা যেন একসূত্রে গাঁথা। কৃষকের ঘরে হেমন্তে নতুন ধান ওঠার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় পিঠা তৈরির কাজ। চলতে থাকে তা পুরো শীতকালজুড়ে। বেশির ভাগ পিঠাই মিষ্টিপ্রধান, কিছু পিঠা ঝালজাতীয়। তবে যে পিঠাই তৈরি করা হোক না কেন, পিঠা তৈরির মূল উপকরণ চালের গুঁড়া। এক এক অঞ্চলে এক এক রকমের পিঠা তৈরি হয়। একই পিঠার নামও আবার অঞ্চলভেদে ভিন্ন। তবে এমন কিছু পিঠা আছে, যা দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই বানানো হয়। যেমন- চিতই পিঠা, পাটিসাপটা, পুলিপিঠা, নকশিপিঠা, তেলেপিঠা ইত্যাদি। শীতকালীন পিঠার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পিঠাগুলো হলো, চিতই, পাকান, পাটিসাপটা, ভাপা, পুলি, ম্যারা, তেলেভাজা, ফুলঝুরি, নকশি, গোলাপফুল, দুধপিঠা, লাউ পায়েস, ছিট পিঠা, সিদ্ধ পিঠা, পুতুল পিঠা, লরি পিঠা, তারাজোড়া, জামাই পিঠা, ঝুরি পিঠা, বিবিয়ানা পিঠা, খান্দেশা পিঠা, পাতা পিঠা, গুলগুলা, লবঙ্গ পিঠা, ক্ষীরডুবি, খাস্তা পিঠা, ঝালপোয়া পিঠা, মালপোয়া পিঠা, মালভোগ, ক্ষীরকুলি, মালাই পিঠা, নারকেল ভাজা পুলি, নারকেল সিদ্ধ পুলি, নারকেল ঝুরি পিঠা, তেলপোয়া পিঠা, ঝাল পিঠা, বিস্কুট পিঠা, খাস্তা পিঠা, গজা, রুটি পিঠা, দুধ পায়েস, কুলি পিঠা, দুধকুলি পিঠা, জামাই কুলি পিঠা, হাঁড়ি পিঠা, চাপড়ি পিঠা, চুটকি পিঠা, রসপুলি, মুরালি পিঠা, খান্দাশ, পয়সা পিঠা, চুষি পিঠা ইত্যাদি অন্যতম।
অতিথি পাখির আগমনঃ
প্রতি বছর শীতকালে শীতের যেসব পাখিরা আমাদের দেশে আসে, তাদেরকে বলা হয় অতিথি পাখি বা পরিযায়ী পাখি। ওরা আসে মূলত হিমালয়ের পাদদেশ আর রাশিয়ার বিভিন্ন জায়গা থেকে। এই পাখিগুলো দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনই সুন্দর এদের গায়ের বাহারি রং। ওদের দেখলেই মন ভরে যায়। নামগুলোও বেশ চমৎকার। শীতের পাখিদের মধ্যে বালিহাঁস, গিরিয়া হাঁস, সাদা মানিকজোড়, নারুদ্দি, চিনাহাঁস, নাইরাল ল্যাঙ্গি, ভোলাপাখি, হারিয়াল, বনহুর, বুরলিহাস, সিরিয়া পাতিরা, পিয়াংচিনা, কবালি, যেনজি, প্রোভায়, নাইবাল, ডেলা ঘেনজি, গ্রাসওয়ার, গেন্ডাভার ও বারহেড, রাঙ্গামুরি, বড়গুলিন্দা, হট্টি টি, ডাহুক, কোড়া, বাটাং, পানকৌড়ি, বড় বক অন্যতম।
আমাদের দেশে মোট পাখি আছে প্রায় ৬২৮ প্রজাতির। এর মধ্যে ২৪৪ প্রজাতির পাখিই স্থায়ীভাবে বাংলাদেশে বাস করে না। এরা আমাদের দেশের পরিযায়ী পাখি বা অতিথি পাখি। শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে এরা আমাদের দেশে আসতে শুরু করে। তারপর মার্চ থেকে এপ্রিলের দিকে ওদের দেশে বরফ গলতে শুরু করলে ফিরে যেতে থাকে নিজেদের দেশে।
পৃথিবীতে এমন কোনো বস্তু বা প্রাণী নেই যার কোনো গুরুত্ব নেই, তেমনি পাখিও প্রকৃতির গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রাণী। পাখি শুধু প্রকৃতির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে না এরা অন্যান্য প্রাণীর উপকারেও আসে। তাই পাখি শিকার বন্ধের পাশাপাশি পাখিরা যাতে নিরাপদে ঘুরে বেড়াতে পারে, সেদিকে সবার দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।
আমাদের দেশে ছয়টি ঋতুর মধ্যে শীতকাল অন্যতম। হেমন্তের পর আগমন করে শীতকাল। ঋতু বিভাজনে পৌষ ও মাঘ মাস শীতের জন্য বরাদ্দ হলেও প্রকৃতিতে শীত থাকে তিন-চার মাস। সাধারণত ইংরেজি নভেম্বর মাস থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত শীত অনুভূত হলেও মধ্য ডিসেম্বর থেকে মধ্য ফেব্রুয়ারি এই দুই মাস শীতকাল। শীত আমাদের প্রকৃতির বৈচিত্র্যময় রূপের একটি। রাতে পাতায় পাতায় কুয়াশা পড়ে। গাম্ভীর্যময় বৈশিষ্ট্যের জন্য শীতের সকাল বছরের অন্য ঋতুর থেকে স্বতন্ত্র। তাইতো কবি সুকান্ত বলেছেন, ‘শীতের সকাল/দরিদ্রের বস্ত্রের আকাল/শীতের সকাল/অসাম্যের কাল/ধনীর সুখ আর আনন্দ/ শ্রেণি সংগ্রাম এ নিয়ে চলে দ্বন্দ্ব।’
শীতের পরিবেশঃ
শীতের সকাল বেলায় কুয়াশার চাদর কেটে যেতে শুরু করে। পূর্বদিক থেকে সূর্য উদিত হলেও কুয়াশা না কাটা পর্যন্ত তাকে ভালো করে দেখা যায় না। আস্তে আস্তে বিরাট একটি লাল বর্ণের থালার মত পূর্ব দিগন্তে উদয়াচলের শীর্ষভাগ দেখা যায়। রোদ উঠে। রোদ পোহানোর জন্য মানুষ খুবই ব্যস্ত হয়ে পড়ে। শীতকালের রোদের মতো এত আরামদায়ক রোদ আর কখনও দেখা যায় না। রোদ ওঠার সাথে সাথেই কুয়াশা পালাতে শুরু করে। মূর্ছাপ্রান্ত পৃথিবীতে আনন্দ সংগীত বেজে ওঠে। কেউ কেউ রোদ না পোহায়ে খড় কুটা দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে আগুন পোহায়। শীতের আসল সৌন্দর্য দেখতে হলে আপনিও যেতে পারেন গ্রামে। কুয়াশার চাদরে আবৃত করে থাকা গ্রামীণ দৃশ্য ধরা পড়া সকালের মিষ্টি রৌদ্রময় সময়ের অপেক্ষা করার অনুভূতিগুলো। কুয়াশাচ্ছন্ন প্রকৃতি শিশির সিক্ত রাস্তাঘাট, হিমেল বাতাসের মিষ্টি মধুর আমেজ শীতকালে এক ভিন্ন রূপ বয়ে নিয়ে আসে।
ফলে ফুলে ভরপুরঃ
শীত মৌসুমে ফুলকাননের যেসব ফুল মানুষের মনকে মুগ্ধ করে তার মধ্যে ডালিয়া অন্যতম। লাল, চকোলেট, হলুদ, সাদা, গোলাপি, বেগুনি প্রভৃতি বর্ণের ডালিয়ার পাপড়ির সৌন্দর্য আর চমৎকার বিন্যাস সহজেই মানুষকে মুগ্ধ করে। কৃষ্ণকলি শীত মৌসুমের নিজস্ব ফুল। এ ফুল সাদা আর গোলাপি রঙের হয়ে থাকে। শীত মৌসুমের আরেক ফুল কসমস। এ ফুল সাদা, লাল বা গোলাপি বর্ণের হয়। এ ছাড়া শীত মৌসুমের আরো যেসব জনপ্রিয় ফুল রয়েছে তার মধ্যে গ্যাজানিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদা, অ্যাস্টার, ডেইজি, সিলভিয়া, এন্টিরিনাম, ন্যাস্টারশিয়াম, প্যানজি, ডায়ান্থাস, ফ্লক্স, ভারবেনা, কারনেশান, পপি, সূর্যমুখী, পর্টুলেকা, ক্যালেন্ডুলা, হলিহক, মর্নিং গেন্ডারি, সুইট পি, অ্যাজালিয়া, জারবেরা, গ্ল্যাডিওলাস পিটুনিয়া অন্যতম। বারান্দা বা গ্রিলে ঝোলানো টবে লাগানোর জন্য পিটুনিয়া, ন্যাস্টারশিয়াস, অ্যাস্টার, ভারবেনা ইত্যাদি উত্তম। গ্রিলে লতিয়ে দেওয়ার জন্য নীলমণি লতা, মর্নিং গেন্ডারি, রেল লতা, সুইট পি ভালো। এসব ফুলের রূপ সৌন্দর্য, পরশ মানুষের মনে দারুণ অনুভূতির জন্ম দেয়।
শীতকালে টাটকা শাকসবজি ও তরকারি পাওয়া যায়। মুলা, গাজর, লাউ, কুমড়া, রসুন, পেঁয়াজ, কলাই, সরিষা, শালগম, আলু, পালংশাক, বেগুন, শিম, বরবটি, মটরশুঁটি, ফুলকপি, বাঁধাকপি প্রভৃতি শীতকালীন সবজি ও ফসলের দৃশ্য গ্রামবাংলার ক্ষেতে ক্ষেতে দেখলে মন ভরে ওঠে। শীতকালে গোলাপ, অশোক, ক্যামেলিয়া, বাগানবিলাস ও কুরচি প্রভৃতি ফুল ফোটে। শিং, জাগুর, শৈল ও বোয়ালসহ বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু জিয়ল মাছ শীত মৌসুমে বেশ মিলে।
শীতের পিঠাপুলিঃ
বাংলার শীতকাল আর পিঠা যেন একসূত্রে গাঁথা। কৃষকের ঘরে হেমন্তে নতুন ধান ওঠার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় পিঠা তৈরির কাজ। চলতে থাকে তা পুরো শীতকালজুড়ে। বেশির ভাগ পিঠাই মিষ্টিপ্রধান, কিছু পিঠা ঝালজাতীয়। তবে যে পিঠাই তৈরি করা হোক না কেন, পিঠা তৈরির মূল উপকরণ চালের গুঁড়া। এক এক অঞ্চলে এক এক রকমের পিঠা তৈরি হয়। একই পিঠার নামও আবার অঞ্চলভেদে ভিন্ন। তবে এমন কিছু পিঠা আছে, যা দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই বানানো হয়। যেমন- চিতই পিঠা, পাটিসাপটা, পুলিপিঠা, নকশিপিঠা, তেলেপিঠা ইত্যাদি। শীতকালীন পিঠার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পিঠাগুলো হলো, চিতই, পাকান, পাটিসাপটা, ভাপা, পুলি, ম্যারা, তেলেভাজা, ফুলঝুরি, নকশি, গোলাপফুল, দুধপিঠা, লাউ পায়েস, ছিট পিঠা, সিদ্ধ পিঠা, পুতুল পিঠা, লরি পিঠা, তারাজোড়া, জামাই পিঠা, ঝুরি পিঠা, বিবিয়ানা পিঠা, খান্দেশা পিঠা, পাতা পিঠা, গুলগুলা, লবঙ্গ পিঠা, ক্ষীরডুবি, খাস্তা পিঠা, ঝালপোয়া পিঠা, মালপোয়া পিঠা, মালভোগ, ক্ষীরকুলি, মালাই পিঠা, নারকেল ভাজা পুলি, নারকেল সিদ্ধ পুলি, নারকেল ঝুরি পিঠা, তেলপোয়া পিঠা, ঝাল পিঠা, বিস্কুট পিঠা, খাস্তা পিঠা, গজা, রুটি পিঠা, দুধ পায়েস, কুলি পিঠা, দুধকুলি পিঠা, জামাই কুলি পিঠা, হাঁড়ি পিঠা, চাপড়ি পিঠা, চুটকি পিঠা, রসপুলি, মুরালি পিঠা, খান্দাশ, পয়সা পিঠা, চুষি পিঠা ইত্যাদি অন্যতম।
অতিথি পাখির আগমনঃ
প্রতি বছর শীতকালে শীতের যেসব পাখিরা আমাদের দেশে আসে, তাদেরকে বলা হয় অতিথি পাখি বা পরিযায়ী পাখি। ওরা আসে মূলত হিমালয়ের পাদদেশ আর রাশিয়ার বিভিন্ন জায়গা থেকে। এই পাখিগুলো দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনই সুন্দর এদের গায়ের বাহারি রং। ওদের দেখলেই মন ভরে যায়। নামগুলোও বেশ চমৎকার। শীতের পাখিদের মধ্যে বালিহাঁস, গিরিয়া হাঁস, সাদা মানিকজোড়, নারুদ্দি, চিনাহাঁস, নাইরাল ল্যাঙ্গি, ভোলাপাখি, হারিয়াল, বনহুর, বুরলিহাস, সিরিয়া পাতিরা, পিয়াংচিনা, কবালি, যেনজি, প্রোভায়, নাইবাল, ডেলা ঘেনজি, গ্রাসওয়ার, গেন্ডাভার ও বারহেড, রাঙ্গামুরি, বড়গুলিন্দা, হট্টি টি, ডাহুক, কোড়া, বাটাং, পানকৌড়ি, বড় বক অন্যতম।
আমাদের দেশে মোট পাখি আছে প্রায় ৬২৮ প্রজাতির। এর মধ্যে ২৪৪ প্রজাতির পাখিই স্থায়ীভাবে বাংলাদেশে বাস করে না। এরা আমাদের দেশের পরিযায়ী পাখি বা অতিথি পাখি। শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে এরা আমাদের দেশে আসতে শুরু করে। তারপর মার্চ থেকে এপ্রিলের দিকে ওদের দেশে বরফ গলতে শুরু করলে ফিরে যেতে থাকে নিজেদের দেশে।
পৃথিবীতে এমন কোনো বস্তু বা প্রাণী নেই যার কোনো গুরুত্ব নেই, তেমনি পাখিও প্রকৃতির গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রাণী। পাখি শুধু প্রকৃতির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে না এরা অন্যান্য প্রাণীর উপকারেও আসে। তাই পাখি শিকার বন্ধের পাশাপাশি পাখিরা যাতে নিরাপদে ঘুরে বেড়াতে পারে, সেদিকে সবার দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।
খোলা আকাশের নিচে অর্ধশতাধিক মাটির চুলায় বানানো হয় বাহারি সব পিঠা। স্থানীয় কিছু ব্যক্তি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এসব দোকানের উদ্যোক্তা। কারিগর স্থানীয় নারীরা।
৩ দিন আগেবিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হলের সামনে হোটেলের অবস্থান। নামকরণের বিষয়ে বলেন, শুরুতে দোকানের কোনো নাম ছিল না। খাবার বিক্রি শুরু হলে শিক্ষার্থীরাই বেশি আসত। আমার বাড়ি ঢাকা বলে সবাই ঢাকার হোটেল বলত। এরপর থেকে এই নামেই পরিচিতি লাভ করে। পরবর্তীতে নাম দিলাম ‘ঢাকা হোটেল’।
৯ দিন আগেবিজয় মানে নয়তো বিরোধ প্রফুল্ল এক মন, উঁচু নিচু নয় ভেদাভেদ সবাই আপন জন।
৯ দিন আগে