শায়খ আহমাদুল্লাহ
ফ্যাসিবাদী সরকারের আক্রোশে বন্ধ হয়ে যাওয়া দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা নতুনভাবে প্রকাশিত হচ্ছে, জাতীয় জীবনে এ এক স্মরণীয় মুহূর্ত। এ দেশের গণমাধ্যমের কোনো অভাব নেই। নিয়মিত বিরতিতে নতুন নতুন টিভি চ্যানেল ও পত্রিকা প্রকাশিত হচ্ছে। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মূল্যবোধ ধারণকারী, বস্তুনিষ্ঠ, নিরপেক্ষ পত্রিকা এ দেশে নেই বললেই চলে। দু-একটা যাওবা আছে, তাদের নানা ধরনের চাপের মুখে পড়তে হয়। এ রকম প্রতিকূল পরিস্থিতির ভেতর থেকে সত্যিকারের গণমাধ্যম হয়ে ওঠার প্রচেষ্টা দৈনিক আমার দেশ-এর মধ্যে দেখেছিলাম। প্রকাশের অল্পদিনের মাথায় দৈনিক আমার দেশ বৃহৎ জনগোষ্ঠীর প্রিয় পত্রিকা হয়ে উঠেছিল। বিশেষ করে ২০১৩ সালে এ দেশের ইসলামপন্থি মজলুম মানুষের পক্ষে যে ভূমিকা রেখেছিল পত্রিকাটি, তা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। পত্রিকাটির এই অনন্য ভূমিকার জন্য তৎকালীন সরকার প্রচলিত আইনকানুন ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বন্ধ করে দেয় আমার দেশ। তারপর থেকেই পত্রিকাটির পাঠক, অনুরাগী, শুভানুধ্যায়ীরা অপেক্ষায় ছিলেন। অবশেষে দীর্ঘ প্রায় এক যুগের অপেক্ষার পর প্রকাশিত হচ্ছে দৈনিক আমার দেশ। এই আনন্দঘন মুহূর্তে পত্রিকাটির প্রকাশক, সম্পাদক, লেখক, সাংবাদিকসহ সব কলাকুশলীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
বিশেষভাবে স্মরণ করছি পত্রিকাটির সাহসী ও মজলুম সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে। তার মতো বস্তুনিষ্ঠ সাহসী সাংবাদিকতা বাংলাদেশের মানুষ খুব বেশি দেখেননি। জালিম শাসকের সব ভয়ভীতি উপেক্ষা করে বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত যেভাবে তিনি পত্রিকাটি প্রকাশ করে গেছেন, তা নজিরবিহীন। ইতিহাসের অংশ হয়ে ওঠা মাহমুদুর রহমান সব অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকুন, মহান আল্লাহর কাছে আমি সেই দোয়া করি।
এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের দুর্ভাগ্য- এ দেশের প্রভাবশালী পত্রিকাগুলো তাদের ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা এবং তাদের সংবাদকে সজ্ঞানে সচেতনভাবে উপেক্ষা করে অপসংস্কৃতি ও ভিনদেশি এজেন্ডা বাস্তবায়নে তৎপর থেকেছে সব সময়। ওয়াজ মাহফিল এ দেশের সংস্কৃতির অংশ। ছোট-বড় যেকোনো ওয়াজ মাহফিলেই হাজার হাজার লোকসমাগম হয়। মাহফিলকে কেন্দ্র করে অনেক নারী শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়ি বেড়াতে আসে। মাহফিলকে ঘিরে প্রতিটি অঞ্চলে উৎসবমুখরতা বিরাজ করে। অথচ এ দেশের মূলধারার কোনো মিডিয়া ছোট মাহফিল দূরে থাক, শতবর্ষ ধরে চলে আসা ঐতিহ্যবাহী মাহফিল নিয়েও সংবাদ প্রকাশ করে না। বিপরীতে দু-চারশ মানুষের অংশগ্রহণে গানের কনসার্টকে তারা ফলাও করে প্রচার করে। এটা সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের প্রতি এ দেশের মিডিয়ার একচোখা নীতি ও বৈষম্যপূর্ণ আচরণের একটি ছোট্ট উদাহরণ। এমন অসংখ্য উদাহরণ হাজির করা যাবে। আশা করি, নতুন বাংলাদেশে দৈনিক আমার দেশ এই অচলায়তন ভাঙতে সক্ষম হবে।
নতুন যাত্রার প্রাক্কালে আমার দেশ-এর কাছে আমাদের প্রত্যাশাও অনেক। মনে রাখতে হবে, এটা ২০১৩ সাল নয়, ২০২৪ সাল। এত দিনে পৃথিবী আমূল বদলে গেছে। সংবাদ, সাংবাদিকতা, প্রিন্ট, ছাপা, উপস্থাপনা ইত্যাদিতে এসেছে বিরাট পরিবর্তন। ২০১৩ সালে বন্ধ হওয়া আমার দেশ যেন ১৩ থেকেই যাত্রা শুরু না করে। বরং শীর্ষস্থান ধরে রাখতে হলে পত্রিকাটির শতভাগ পেশাদারি ও কোয়ালিটি বজায় রাখতে হবে। আমার দেশ অবশ্যই গণমানুষের কথাই বলবে, কিন্তু দিন শেষে বিশেষ একটি গোষ্ঠীর পত্রিকা যেন না হয়ে ওঠে, বরং সব শ্রেণির মানুষ যেন এর বস্তুনিষ্ঠতা, মান ও শিল্পরুচির ওপর আস্থা রাখতে পারে, সেই বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। নতুবা তুমুল প্রতিযোগিতার এই বাজারে টিকে থাকা এবং শীর্ষস্থান ধরে রাখা অত্যন্ত কঠিন হবে। তাই নতুন পৃথিবীর বাস্তবতায় কোয়ালিটির সঙ্গে বিন্দুমাত্র আপস করা চলবে না। বিশেষ করে এখন অনলাইনের যুগ। প্রিন্ট ভার্সনের পাশাপাশি অনলাইন সাংবাদিকতার ওপরও সমান গুরুত্ব দিতে হবে।
নতুন বাংলাদেশে গণমানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠুক আমার দেশ- দেশবাসী এই প্রত্যাশা নিয়ে অপেক্ষমাণ।
ফ্যাসিবাদী সরকারের আক্রোশে বন্ধ হয়ে যাওয়া দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা নতুনভাবে প্রকাশিত হচ্ছে, জাতীয় জীবনে এ এক স্মরণীয় মুহূর্ত। এ দেশের গণমাধ্যমের কোনো অভাব নেই। নিয়মিত বিরতিতে নতুন নতুন টিভি চ্যানেল ও পত্রিকা প্রকাশিত হচ্ছে। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মূল্যবোধ ধারণকারী, বস্তুনিষ্ঠ, নিরপেক্ষ পত্রিকা এ দেশে নেই বললেই চলে। দু-একটা যাওবা আছে, তাদের নানা ধরনের চাপের মুখে পড়তে হয়। এ রকম প্রতিকূল পরিস্থিতির ভেতর থেকে সত্যিকারের গণমাধ্যম হয়ে ওঠার প্রচেষ্টা দৈনিক আমার দেশ-এর মধ্যে দেখেছিলাম। প্রকাশের অল্পদিনের মাথায় দৈনিক আমার দেশ বৃহৎ জনগোষ্ঠীর প্রিয় পত্রিকা হয়ে উঠেছিল। বিশেষ করে ২০১৩ সালে এ দেশের ইসলামপন্থি মজলুম মানুষের পক্ষে যে ভূমিকা রেখেছিল পত্রিকাটি, তা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। পত্রিকাটির এই অনন্য ভূমিকার জন্য তৎকালীন সরকার প্রচলিত আইনকানুন ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বন্ধ করে দেয় আমার দেশ। তারপর থেকেই পত্রিকাটির পাঠক, অনুরাগী, শুভানুধ্যায়ীরা অপেক্ষায় ছিলেন। অবশেষে দীর্ঘ প্রায় এক যুগের অপেক্ষার পর প্রকাশিত হচ্ছে দৈনিক আমার দেশ। এই আনন্দঘন মুহূর্তে পত্রিকাটির প্রকাশক, সম্পাদক, লেখক, সাংবাদিকসহ সব কলাকুশলীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
বিশেষভাবে স্মরণ করছি পত্রিকাটির সাহসী ও মজলুম সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে। তার মতো বস্তুনিষ্ঠ সাহসী সাংবাদিকতা বাংলাদেশের মানুষ খুব বেশি দেখেননি। জালিম শাসকের সব ভয়ভীতি উপেক্ষা করে বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত যেভাবে তিনি পত্রিকাটি প্রকাশ করে গেছেন, তা নজিরবিহীন। ইতিহাসের অংশ হয়ে ওঠা মাহমুদুর রহমান সব অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকুন, মহান আল্লাহর কাছে আমি সেই দোয়া করি।
এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের দুর্ভাগ্য- এ দেশের প্রভাবশালী পত্রিকাগুলো তাদের ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা এবং তাদের সংবাদকে সজ্ঞানে সচেতনভাবে উপেক্ষা করে অপসংস্কৃতি ও ভিনদেশি এজেন্ডা বাস্তবায়নে তৎপর থেকেছে সব সময়। ওয়াজ মাহফিল এ দেশের সংস্কৃতির অংশ। ছোট-বড় যেকোনো ওয়াজ মাহফিলেই হাজার হাজার লোকসমাগম হয়। মাহফিলকে কেন্দ্র করে অনেক নারী শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়ি বেড়াতে আসে। মাহফিলকে ঘিরে প্রতিটি অঞ্চলে উৎসবমুখরতা বিরাজ করে। অথচ এ দেশের মূলধারার কোনো মিডিয়া ছোট মাহফিল দূরে থাক, শতবর্ষ ধরে চলে আসা ঐতিহ্যবাহী মাহফিল নিয়েও সংবাদ প্রকাশ করে না। বিপরীতে দু-চারশ মানুষের অংশগ্রহণে গানের কনসার্টকে তারা ফলাও করে প্রচার করে। এটা সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের প্রতি এ দেশের মিডিয়ার একচোখা নীতি ও বৈষম্যপূর্ণ আচরণের একটি ছোট্ট উদাহরণ। এমন অসংখ্য উদাহরণ হাজির করা যাবে। আশা করি, নতুন বাংলাদেশে দৈনিক আমার দেশ এই অচলায়তন ভাঙতে সক্ষম হবে।
নতুন যাত্রার প্রাক্কালে আমার দেশ-এর কাছে আমাদের প্রত্যাশাও অনেক। মনে রাখতে হবে, এটা ২০১৩ সাল নয়, ২০২৪ সাল। এত দিনে পৃথিবী আমূল বদলে গেছে। সংবাদ, সাংবাদিকতা, প্রিন্ট, ছাপা, উপস্থাপনা ইত্যাদিতে এসেছে বিরাট পরিবর্তন। ২০১৩ সালে বন্ধ হওয়া আমার দেশ যেন ১৩ থেকেই যাত্রা শুরু না করে। বরং শীর্ষস্থান ধরে রাখতে হলে পত্রিকাটির শতভাগ পেশাদারি ও কোয়ালিটি বজায় রাখতে হবে। আমার দেশ অবশ্যই গণমানুষের কথাই বলবে, কিন্তু দিন শেষে বিশেষ একটি গোষ্ঠীর পত্রিকা যেন না হয়ে ওঠে, বরং সব শ্রেণির মানুষ যেন এর বস্তুনিষ্ঠতা, মান ও শিল্পরুচির ওপর আস্থা রাখতে পারে, সেই বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। নতুবা তুমুল প্রতিযোগিতার এই বাজারে টিকে থাকা এবং শীর্ষস্থান ধরে রাখা অত্যন্ত কঠিন হবে। তাই নতুন পৃথিবীর বাস্তবতায় কোয়ালিটির সঙ্গে বিন্দুমাত্র আপস করা চলবে না। বিশেষ করে এখন অনলাইনের যুগ। প্রিন্ট ভার্সনের পাশাপাশি অনলাইন সাংবাদিকতার ওপরও সমান গুরুত্ব দিতে হবে।
নতুন বাংলাদেশে গণমানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠুক আমার দেশ- দেশবাসী এই প্রত্যাশা নিয়ে অপেক্ষমাণ।
শেখ হাসিনা নিজেই বলেছেন, তিনি ভারতের জন্য যা করেছেন, ভারত তা চিরদিন মনে রাখবে। ফলে এই গুরুত্বপূর্ণ সম্পদকে ভারত শুধু আশ্রয় দিয়ে বসে থাকবে না, তাকে সামনে রেখে বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টির নানা চেষ্টা করে যাবে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো যখন আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে পুনর্বাসনের দাবি তোলে, তখন সাধারণ মানুষ
৬ ঘণ্টা আগেবিশ্বের নানা অঞ্চলে প্রভাবশালী ও তুলনামূলকভাবে বৃহৎ রাষ্ট্র রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ আফ্রিকায় দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ইন্দোনেশিয়া, ইউরোপে জার্মানি ও ফ্রান্স এবং দক্ষিণ আমেরিকায় ব্রাজিলের উল্লেখ করা যেতে পারে।
৯ ঘণ্টা আগেপূর্ব গগনে সূর্য উঠেছে, রক্ত লাল রক্ত লাল। আমার দেশ-এর পুনঃপ্রকাশনা সেই রক্ত লালের সংগ্রামেরই একটা অংশ। আমাদের মতো লোকেরা আমার দেশ-এর মতো পত্রিকার প্রকাশনাকে স্বাগত জানাই। আল্লাহপাক মজলুমের পক্ষে।
১ দিন আগেচেয়ার টেনে বসতে বসতে আমাদের বললেন, প্রেসিডেন্ট (জিয়াউর রহমান) আজ আমাকে বলেছেন, কি খান সাহেব, হাসিনা আসছে বলে কি ভয় পাচ্ছেন? এটা শুনে আমরা কিছুটা অবাকই হলাম। মনে হলো তাহলে কি প্রেসিডেন্ট নিজেই ভয় পাচ্ছেন!
১ দিন আগে