আবু আহমেদ
আমার দেশ আবার প্রকাশিত হচ্ছে জেনে আমি অনেক অনেক আনন্দিত। একসময় আমি আমার দেশ-এ প্রায়ই নিয়মিত লিখতাম। লিখতে আমি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতাম এজন্যই যে, আমার দেশ-এর আদর্শিক অবস্থানের সঙ্গে আমার মনের মিল ছিল। খুব সম্ভবত আমার দেশ-এর প্রথম সম্পাদক ছিলেন আমানুল্লাহ কবীর। তিনি জাতীয়তাবাদী সাংবাদিকদের নেতা ছিলেন। তার পরে আমার স্মরণমতো সম্পাদক হন বিখ্যাত সাংবাদিক আতাউস সামাদ। আতাউস সামাদ ভাই আমার দেশ-এর আর্থিক সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য অনেক কাজ করেছেন। এরপর সম্পাদক হন আজকের মজলুম সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত মাহমুদুর রহমান। তিনি অনেক শিক্ষিত লোক। বুয়েটের ইঞ্জিনিয়ার। সাংবাদিকতায় এসেছেন বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহে। কিন্তু এসে দেখেন এ জগতেও কেউ কারও নয়। একটা স্বার্থবাদী চক্র সংবাদপত্রকে নিয়ন্ত্রণ করছে, যেথায় সত্য উপেক্ষিত—অসত্য ও বাণিজ্য রাজত্ব করছে। সাংবাদিকদের মধ্যে অনেক অনৈক্য ও বিভক্তি।
গণতন্ত্র যে দেশ থেকে নির্বাসিত হয়, সেদেশে পেশাজীবীদের মধ্যে একটি অনুগত শ্রেণি সৃষ্টি করা হয়—ভোট ও ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় থাকেন। এতে হয় ভাগাভাগি ও স্বার্থের দ্বন্দ্ব। ওই অবস্থায় সংবাদপত্রগুলো সত্যের মধ্যে না দাঁড়িয়ে অসত্যের ওপর ভর করে এবং কথিত সাংবাদিকদের জন্য স্বার্থ হাসিলের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে। মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোকে অস্বীকার করে যে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, সেই স্বৈরতন্ত্রে ভর দিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য একশ্রেণির পোষ্য সাংবাদিক তৈরি করা খুবই প্রয়োজন ছিল। স্বৈরতন্ত্রের বয়ান তৈরি করা এবং তোষামোদির সংস্কৃতিকে প্রমোট করা এসব সাংবাদিকের মুখ্য কাজ ছিল।
স্বৈরতন্ত্র জিন্দাবাদ ছিল তাদের মুখ্য স্লোগান। স্বাধীন সংবাদপত্র ও স্বাধীন সাংবাদিকতা হারিয়ে যেতে বসল। পোষা সাংবাদিকরা যেসব বয়ান তৈরি করত, দেশের মানুষ পড়ত না এবং বিশ্বাসও করত না। পুরো বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে আয়নাঘরে বন্দি করা হলো। আমার দেশ ছিল ব্যতিক্রম। স্বাধীন থাকার জন্য অনেক যুদ্ধ করতে হয়েছিল। আমার দেশ-এর সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর হেন কোনো মামলা নেই বাকি রাখা হয়নি, যার মাধ্যমে নিগৃহীত করা হয়নি। জেলে পাঠানো হলো। আদালত চত্বরে গুণ্ডাবাহিনী দিয়ে আক্রমণ করিয়ে রক্তাক্ত করা হলো। আমাদের মন ব্যথায় ও ক্ষোভে পূর্ণ থেকে পূর্ণতর হচ্ছিল। কিন্তু আমরা নাগরিক সমাজ এই সম্পাদকের জন্য কিছুই করতে পারিনি। মাহমুদুর রহমান চিন্তা ও লেখনীর জগতে স্বাধীনতার জন্য যে সংগ্রাম করে গেছেন, তা আমাদের সময়কালের জন্য ছিল অনন্য। অন্যরা যখন ভয়ে ভয়ে লুকিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন মাহমুদুর রহমান একাই সত্য ও স্বাধীনতার পক্ষে লড়াই করে চলেছিলেন। বাংলাদেশের কোর্ট সিসটেমের কাছে এই সম্পাদক ন্যায়বিচার পাননি। তার ক্ষেত্রে বিচারের বাণী নিভৃতে কেঁদেছে। ৫ আগস্ট স্বৈরাচারের পতনের পর ওইসব সত্য ও মূল্যবোধ ফেরত আসার সম্ভাবনা আমরা দেখতে পেলাম, যার জন্য মাহমুদুর রহমান এককভাবে গত ১৫টি বছর লড়ে গেছেন। সত্যের পক্ষে, বাংলাদেশের পক্ষে এই লড়াকু সাংবাদিককে এ জাতি চিরদিন মনে রাখবে। জাতির শ্রেষ্ঠ পুরস্কারটি মাহমুদুর রহমানের প্রাপ্য। লাখো মানুষ তার কথা শোনেন। সেই মজলুম সম্পাদকের নেতৃত্বে আবার যখন শুনলাম আমার দেশ প্রকাশিত হচ্ছে, তখন মনে হলো সত্যিকার অর্থে আমাদের ছাত্র-জনতা স্বৈরাচারের পতন ঘটাতে সক্ষম হয়েছে।
পূর্ব গগনে সূর্য উঠেছে, রক্ত লাল রক্ত লাল। আমার দেশ-এর পুনঃপ্রকাশনা সেই রক্ত লালের সংগ্রামেরই একটা অংশ। আমাদের মতো লোকেরা আমার দেশ-এর মতো পত্রিকার প্রকাশনাকে স্বাগত জানাই। আল্লাহপাক মজলুমের পক্ষে।
আমার দেশ আবার প্রকাশিত হচ্ছে জেনে আমি অনেক অনেক আনন্দিত। একসময় আমি আমার দেশ-এ প্রায়ই নিয়মিত লিখতাম। লিখতে আমি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতাম এজন্যই যে, আমার দেশ-এর আদর্শিক অবস্থানের সঙ্গে আমার মনের মিল ছিল। খুব সম্ভবত আমার দেশ-এর প্রথম সম্পাদক ছিলেন আমানুল্লাহ কবীর। তিনি জাতীয়তাবাদী সাংবাদিকদের নেতা ছিলেন। তার পরে আমার স্মরণমতো সম্পাদক হন বিখ্যাত সাংবাদিক আতাউস সামাদ। আতাউস সামাদ ভাই আমার দেশ-এর আর্থিক সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য অনেক কাজ করেছেন। এরপর সম্পাদক হন আজকের মজলুম সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত মাহমুদুর রহমান। তিনি অনেক শিক্ষিত লোক। বুয়েটের ইঞ্জিনিয়ার। সাংবাদিকতায় এসেছেন বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহে। কিন্তু এসে দেখেন এ জগতেও কেউ কারও নয়। একটা স্বার্থবাদী চক্র সংবাদপত্রকে নিয়ন্ত্রণ করছে, যেথায় সত্য উপেক্ষিত—অসত্য ও বাণিজ্য রাজত্ব করছে। সাংবাদিকদের মধ্যে অনেক অনৈক্য ও বিভক্তি।
গণতন্ত্র যে দেশ থেকে নির্বাসিত হয়, সেদেশে পেশাজীবীদের মধ্যে একটি অনুগত শ্রেণি সৃষ্টি করা হয়—ভোট ও ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় থাকেন। এতে হয় ভাগাভাগি ও স্বার্থের দ্বন্দ্ব। ওই অবস্থায় সংবাদপত্রগুলো সত্যের মধ্যে না দাঁড়িয়ে অসত্যের ওপর ভর করে এবং কথিত সাংবাদিকদের জন্য স্বার্থ হাসিলের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে। মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোকে অস্বীকার করে যে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, সেই স্বৈরতন্ত্রে ভর দিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য একশ্রেণির পোষ্য সাংবাদিক তৈরি করা খুবই প্রয়োজন ছিল। স্বৈরতন্ত্রের বয়ান তৈরি করা এবং তোষামোদির সংস্কৃতিকে প্রমোট করা এসব সাংবাদিকের মুখ্য কাজ ছিল।
স্বৈরতন্ত্র জিন্দাবাদ ছিল তাদের মুখ্য স্লোগান। স্বাধীন সংবাদপত্র ও স্বাধীন সাংবাদিকতা হারিয়ে যেতে বসল। পোষা সাংবাদিকরা যেসব বয়ান তৈরি করত, দেশের মানুষ পড়ত না এবং বিশ্বাসও করত না। পুরো বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে আয়নাঘরে বন্দি করা হলো। আমার দেশ ছিল ব্যতিক্রম। স্বাধীন থাকার জন্য অনেক যুদ্ধ করতে হয়েছিল। আমার দেশ-এর সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর হেন কোনো মামলা নেই বাকি রাখা হয়নি, যার মাধ্যমে নিগৃহীত করা হয়নি। জেলে পাঠানো হলো। আদালত চত্বরে গুণ্ডাবাহিনী দিয়ে আক্রমণ করিয়ে রক্তাক্ত করা হলো। আমাদের মন ব্যথায় ও ক্ষোভে পূর্ণ থেকে পূর্ণতর হচ্ছিল। কিন্তু আমরা নাগরিক সমাজ এই সম্পাদকের জন্য কিছুই করতে পারিনি। মাহমুদুর রহমান চিন্তা ও লেখনীর জগতে স্বাধীনতার জন্য যে সংগ্রাম করে গেছেন, তা আমাদের সময়কালের জন্য ছিল অনন্য। অন্যরা যখন ভয়ে ভয়ে লুকিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন মাহমুদুর রহমান একাই সত্য ও স্বাধীনতার পক্ষে লড়াই করে চলেছিলেন। বাংলাদেশের কোর্ট সিসটেমের কাছে এই সম্পাদক ন্যায়বিচার পাননি। তার ক্ষেত্রে বিচারের বাণী নিভৃতে কেঁদেছে। ৫ আগস্ট স্বৈরাচারের পতনের পর ওইসব সত্য ও মূল্যবোধ ফেরত আসার সম্ভাবনা আমরা দেখতে পেলাম, যার জন্য মাহমুদুর রহমান এককভাবে গত ১৫টি বছর লড়ে গেছেন। সত্যের পক্ষে, বাংলাদেশের পক্ষে এই লড়াকু সাংবাদিককে এ জাতি চিরদিন মনে রাখবে। জাতির শ্রেষ্ঠ পুরস্কারটি মাহমুদুর রহমানের প্রাপ্য। লাখো মানুষ তার কথা শোনেন। সেই মজলুম সম্পাদকের নেতৃত্বে আবার যখন শুনলাম আমার দেশ প্রকাশিত হচ্ছে, তখন মনে হলো সত্যিকার অর্থে আমাদের ছাত্র-জনতা স্বৈরাচারের পতন ঘটাতে সক্ষম হয়েছে।
পূর্ব গগনে সূর্য উঠেছে, রক্ত লাল রক্ত লাল। আমার দেশ-এর পুনঃপ্রকাশনা সেই রক্ত লালের সংগ্রামেরই একটা অংশ। আমাদের মতো লোকেরা আমার দেশ-এর মতো পত্রিকার প্রকাশনাকে স্বাগত জানাই। আল্লাহপাক মজলুমের পক্ষে।
চেয়ার টেনে বসতে বসতে আমাদের বললেন, প্রেসিডেন্ট (জিয়াউর রহমান) আজ আমাকে বলেছেন, কি খান সাহেব, হাসিনা আসছে বলে কি ভয় পাচ্ছেন? এটা শুনে আমরা কিছুটা অবাকই হলাম। মনে হলো তাহলে কি প্রেসিডেন্ট নিজেই ভয় পাচ্ছেন!
১৯ ঘণ্টা আগেশেখ হাসিনা যদি বারবার দেশ থেকে পালানোর বাণী উচ্চারণ না করতেন, তবুও কথা ছিল। খালেদা জিয়া তো ২০০৮-এর নির্বাচনে পরাজিত হয়ে পালাননি। ২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি তো যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে সফরে গিয়েও দেশে ফিরে গেছেন। স্বৈরশাসক এরশাদও তার পতন অবশ্যম্ভাবী দেখেও দেশ ছেড়ে পালাননি। তারা দুজনই তাদের বিরুদ্ধে সরক
১৯ ঘণ্টা আগেফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লেখালেখির জন্য ইন্দিরা গান্ধীর আমলে কারাগারে যাওয়া গৌরকিশোর ঘোষ লিখেছেন, ‘যেখানে লোভ, হিংসা আর মিথ্যার শাসন, ফ্যাসিবাদ সেখানেই প্রভু। যেখানে অন্যায় আর অবিচার, দমন আর পীড়ন, ফ্যাসিবাদ সেখানেই প্রভু।
২০ ঘণ্টা আগেকিউসি অনার জাহাজটির মালিক ছিল সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবার এবং সে ঘটনার রাতেই জাহাজটি চট্টগ্রামে নোঙর করে। এ দুটি মিলই যথেষ্ট ছিল এই মতলববাজদের জন্য। কিন্তু তলিয়ে দেখেনি যে, কনটেইনারবাহী জাহাজ কখনোই বহির্নোঙরে এভাবে কনটেইনার খালাস করতে পারে না।
২০ ঘণ্টা আগে