প্রফেসর শহীদুজ্জামান
বর্তমান সময়ে ভারতীয় উদ্ভট আচরণ কূটনৈতিক শিষ্টাচার তো দূরের কথা, কোনো স্বাভাবিক আস্থার ভবিষ্যতের পরিত্রাণের সম্ভাবনার পথে সমাধি রচনা করেছে। কোনো দিনও আর এ দেশের সচেতন জনগণ মেনে নেবেন না যে ভারত কোনোকালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আদৌ চেয়েছে। এ দেশীয় আওয়ামীপন্থিরা যদি মনে করে, বাকি জনসাধারণ তাদের মেনে নেবে কোনো একদিন, সেটা সুদূরপরাহত। তাহলে আমরা জাতি হিসেবে আমাদের দেশকে নিশ্চিত এক করদরাজ্যে পরিণত করব। নতুন প্রজন্ম খুব বেশি সচেতন। তারা তাদের ইতিহাসবোধ আর আত্মসম্মানকে জলাঞ্জলি দেবে না, যেকোনো মূল্যেই হোক না কেন। পররাষ্ট্র সচিবের চলমান আচরণে তারা আরও সৎ ও আস্থাশীল দৃঢ়তা দেখতে পায় না। তার কথার ধারায় কোনো উষ্মা নেই, শুধু ধারাবর্ণনা। কদিন আগে তা অনুভব করলাম এনএসইউর একটা গোলটেবিলের পর তার মৃদু ভাষণে। এটা ঠিক, অতি-উৎসাহী ভারতবিদ্বেষ আমাদের জন্য আত্মঘাতী। ভূ-রাজনৈতিক সীমাবদ্ধতা ও দীর্ঘ সময় ওই ‘সবার সাথেই বন্ধুত্ব’ এক অর্বাচীন মেধাহীন গহ্বরে দেশকে ঠেলে দেয় আর ভারতের বিধিনিষেধ কেউ মেনে চলতে বাধ্য করে। আজ তাই ভারত এ দেশের স্বাধীন সত্তাকে তিরস্কার করছে। তবে নির্বাচন হতে যদি দুবছর লেগে যায়, আমাদের আরও শক্তিশালী মিত্রতা ও সামরিক সহযোগিতা হবে অনিবার্য।
ভারতের আগ্রাসী মনোভাবের সঙ্গে তার দুর্বৃত্তায়ন আচরণকে যথাযথ তুলে ধরতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সব দেশের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠান এ দেশের অবস্থান তুলে ধরতে। বেশ আগ্রহ নিয়ে আসার পর, প্রথমত বেশ গাদাগাদি করে বসতে দেওয়া হয়। কূটনৈতিক প্রথায় মন্ত্রী তাদের প্রথমে ধন্যবাদ জানাবে ও ডাকার উদ্দেশ্য সাবলীল ভাষায় ব্যক্ত করবে। কিন্তু উপদেষ্টা এসব ভদ্রতা উপেক্ষা করে সরাসরি বাংলায় তার শব্দচয়ন করলেন, যেমন- ‘মালমসলা’, ধরনের শব্দ, এখানকার সাংবাদিকদের উদ্দেশে।
নিজেরা আলাপচারিতা করে গেল ও কূটনীতিকরা সব হতভম্ব হয়ে কিছু না বুঝতে পেরে বিদায় নিল। তার ইংরেজি উচ্চারণ দুর্বল ও কোনো বলার ধারা নেই। কীভাবে তিনি একজন কূটনীতিক হয়েছেন, এটাই প্রায় সব সাবেক পররাষ্ট্রবিষয়ক কূটনীতিকদের প্রশ্ন। অনেকে এমনও ব্যক্তিগত অভিমত জানিয়েছেন, যা শুনে স্তম্ভিত বোধ করেছি। তাদের কাছ থেকে ভারতের শক্তিশালী কূটনৈতিক প্রেক্ষিতে খুব একটা ভালো কিছু আশা করা যায় না।
বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আমি বিভিন্ন সময় আমার অবদান সরাসরি তুলে ধরেছি। তা নিয়ে নানা মহলে নানা আলোচনা হচ্ছে। আমি মনে করি, পারমাণবিক প্রতিরক্ষা আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিষয়ে চল্লিশ বছরের অধিক সময় এমএ ক্লাসে এই কোর্সটা পড়িয়েছি। ১৯৭৮ সাল থেকে আমি মার্কিন রণকৌশল-সংক্রান্ত আণবিক নিবারক ও এর ওপর আমার সব ছাত্রকে মার্কিন জার্নালের লেখাগুলো বোঝাতে গিয়ে নিজেও জেনেছি। তাই আমি আণবিক নিবারকের তুলনামূলক মার্কিন-রাশিয়ান ডক্ট্রিন বিশ্লেষণ করতে দিল্লির জেএনইউতেও আমন্ত্রিত হয়ে গিয়েছি ১৯৮৯ সালে। তখনো এস ডি মূনীরাই ছিলেন সেখানে। যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করতে গিয়ে তাদের ন্যাভাল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্কুলে পড়িয়েছি ১৯৭৬ সালে। এখানে আওয়ামীরা যখনই ক্ষমতায় গেছে, তারা নোংরা মানসিকতার ধারায় আমাকে অপবাদ দিয়ে জীবন থেকে অনেকগুলো বছর কেড়ে নিয়েছে। সর্বোচ্চ পর্যায়ে তাদেরই গোয়েন্দা অনুসন্ধান রিপোর্ট আমাকে চক্রান্তের শিকার অবিহিত করেছে। আমারই ছাত্রী গোয়েন্দা বিভাগের ঊর্ধ্বতন অফিসার বাইশ বছর আগে আমাকে রিপোর্ট পড়ে জানিয়েছিল।
তাই তো বহু বছর ধরে পুলিশ ও সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের আমার প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা আমাকে সব সময় সাহস জুগিয়েছে, যেন আমি সত্যটা বলে যাই আর লিখে যাই। তারাই ছিল আমার শ্রেষ্ঠ উৎসাহদাতা। এখনো আমি এমনসব চিন্তার বাস্তব রণকৌশল নিয়ে ধারণা প্রকাশ করে ফেলি, যা আমি মনে করি, ভারতীয় নিয়ন্ত্রণ থেকে আমাদের নতুন পথের সন্ধান দেবে।
বর্তমান সময়ে ভারতীয় উদ্ভট আচরণ কূটনৈতিক শিষ্টাচার তো দূরের কথা, কোনো স্বাভাবিক আস্থার ভবিষ্যতের পরিত্রাণের সম্ভাবনার পথে সমাধি রচনা করেছে। কোনো দিনও আর এ দেশের সচেতন জনগণ মেনে নেবেন না যে ভারত কোনোকালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আদৌ চেয়েছে। এ দেশীয় আওয়ামীপন্থিরা যদি মনে করে, বাকি জনসাধারণ তাদের মেনে নেবে কোনো একদিন, সেটা সুদূরপরাহত। তাহলে আমরা জাতি হিসেবে আমাদের দেশকে নিশ্চিত এক করদরাজ্যে পরিণত করব। নতুন প্রজন্ম খুব বেশি সচেতন। তারা তাদের ইতিহাসবোধ আর আত্মসম্মানকে জলাঞ্জলি দেবে না, যেকোনো মূল্যেই হোক না কেন। পররাষ্ট্র সচিবের চলমান আচরণে তারা আরও সৎ ও আস্থাশীল দৃঢ়তা দেখতে পায় না। তার কথার ধারায় কোনো উষ্মা নেই, শুধু ধারাবর্ণনা। কদিন আগে তা অনুভব করলাম এনএসইউর একটা গোলটেবিলের পর তার মৃদু ভাষণে। এটা ঠিক, অতি-উৎসাহী ভারতবিদ্বেষ আমাদের জন্য আত্মঘাতী। ভূ-রাজনৈতিক সীমাবদ্ধতা ও দীর্ঘ সময় ওই ‘সবার সাথেই বন্ধুত্ব’ এক অর্বাচীন মেধাহীন গহ্বরে দেশকে ঠেলে দেয় আর ভারতের বিধিনিষেধ কেউ মেনে চলতে বাধ্য করে। আজ তাই ভারত এ দেশের স্বাধীন সত্তাকে তিরস্কার করছে। তবে নির্বাচন হতে যদি দুবছর লেগে যায়, আমাদের আরও শক্তিশালী মিত্রতা ও সামরিক সহযোগিতা হবে অনিবার্য।
ভারতের আগ্রাসী মনোভাবের সঙ্গে তার দুর্বৃত্তায়ন আচরণকে যথাযথ তুলে ধরতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সব দেশের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠান এ দেশের অবস্থান তুলে ধরতে। বেশ আগ্রহ নিয়ে আসার পর, প্রথমত বেশ গাদাগাদি করে বসতে দেওয়া হয়। কূটনৈতিক প্রথায় মন্ত্রী তাদের প্রথমে ধন্যবাদ জানাবে ও ডাকার উদ্দেশ্য সাবলীল ভাষায় ব্যক্ত করবে। কিন্তু উপদেষ্টা এসব ভদ্রতা উপেক্ষা করে সরাসরি বাংলায় তার শব্দচয়ন করলেন, যেমন- ‘মালমসলা’, ধরনের শব্দ, এখানকার সাংবাদিকদের উদ্দেশে।
নিজেরা আলাপচারিতা করে গেল ও কূটনীতিকরা সব হতভম্ব হয়ে কিছু না বুঝতে পেরে বিদায় নিল। তার ইংরেজি উচ্চারণ দুর্বল ও কোনো বলার ধারা নেই। কীভাবে তিনি একজন কূটনীতিক হয়েছেন, এটাই প্রায় সব সাবেক পররাষ্ট্রবিষয়ক কূটনীতিকদের প্রশ্ন। অনেকে এমনও ব্যক্তিগত অভিমত জানিয়েছেন, যা শুনে স্তম্ভিত বোধ করেছি। তাদের কাছ থেকে ভারতের শক্তিশালী কূটনৈতিক প্রেক্ষিতে খুব একটা ভালো কিছু আশা করা যায় না।
বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আমি বিভিন্ন সময় আমার অবদান সরাসরি তুলে ধরেছি। তা নিয়ে নানা মহলে নানা আলোচনা হচ্ছে। আমি মনে করি, পারমাণবিক প্রতিরক্ষা আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিষয়ে চল্লিশ বছরের অধিক সময় এমএ ক্লাসে এই কোর্সটা পড়িয়েছি। ১৯৭৮ সাল থেকে আমি মার্কিন রণকৌশল-সংক্রান্ত আণবিক নিবারক ও এর ওপর আমার সব ছাত্রকে মার্কিন জার্নালের লেখাগুলো বোঝাতে গিয়ে নিজেও জেনেছি। তাই আমি আণবিক নিবারকের তুলনামূলক মার্কিন-রাশিয়ান ডক্ট্রিন বিশ্লেষণ করতে দিল্লির জেএনইউতেও আমন্ত্রিত হয়ে গিয়েছি ১৯৮৯ সালে। তখনো এস ডি মূনীরাই ছিলেন সেখানে। যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করতে গিয়ে তাদের ন্যাভাল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্কুলে পড়িয়েছি ১৯৭৬ সালে। এখানে আওয়ামীরা যখনই ক্ষমতায় গেছে, তারা নোংরা মানসিকতার ধারায় আমাকে অপবাদ দিয়ে জীবন থেকে অনেকগুলো বছর কেড়ে নিয়েছে। সর্বোচ্চ পর্যায়ে তাদেরই গোয়েন্দা অনুসন্ধান রিপোর্ট আমাকে চক্রান্তের শিকার অবিহিত করেছে। আমারই ছাত্রী গোয়েন্দা বিভাগের ঊর্ধ্বতন অফিসার বাইশ বছর আগে আমাকে রিপোর্ট পড়ে জানিয়েছিল।
তাই তো বহু বছর ধরে পুলিশ ও সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের আমার প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা আমাকে সব সময় সাহস জুগিয়েছে, যেন আমি সত্যটা বলে যাই আর লিখে যাই। তারাই ছিল আমার শ্রেষ্ঠ উৎসাহদাতা। এখনো আমি এমনসব চিন্তার বাস্তব রণকৌশল নিয়ে ধারণা প্রকাশ করে ফেলি, যা আমি মনে করি, ভারতীয় নিয়ন্ত্রণ থেকে আমাদের নতুন পথের সন্ধান দেবে।
শেখ হাসিনা নিজেই বলেছেন, তিনি ভারতের জন্য যা করেছেন, ভারত তা চিরদিন মনে রাখবে। ফলে এই গুরুত্বপূর্ণ সম্পদকে ভারত শুধু আশ্রয় দিয়ে বসে থাকবে না, তাকে সামনে রেখে বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টির নানা চেষ্টা করে যাবে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো যখন আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে পুনর্বাসনের দাবি তোলে, তখন সাধারণ মানুষ
৫ ঘণ্টা আগেবিশ্বের নানা অঞ্চলে প্রভাবশালী ও তুলনামূলকভাবে বৃহৎ রাষ্ট্র রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ আফ্রিকায় দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ইন্দোনেশিয়া, ইউরোপে জার্মানি ও ফ্রান্স এবং দক্ষিণ আমেরিকায় ব্রাজিলের উল্লেখ করা যেতে পারে।
৮ ঘণ্টা আগেপূর্ব গগনে সূর্য উঠেছে, রক্ত লাল রক্ত লাল। আমার দেশ-এর পুনঃপ্রকাশনা সেই রক্ত লালের সংগ্রামেরই একটা অংশ। আমাদের মতো লোকেরা আমার দেশ-এর মতো পত্রিকার প্রকাশনাকে স্বাগত জানাই। আল্লাহপাক মজলুমের পক্ষে।
১ দিন আগেচেয়ার টেনে বসতে বসতে আমাদের বললেন, প্রেসিডেন্ট (জিয়াউর রহমান) আজ আমাকে বলেছেন, কি খান সাহেব, হাসিনা আসছে বলে কি ভয় পাচ্ছেন? এটা শুনে আমরা কিছুটা অবাকই হলাম। মনে হলো তাহলে কি প্রেসিডেন্ট নিজেই ভয় পাচ্ছেন!
১ দিন আগে