সরদার আনিছ
নতুন বছরে বিনামূল্যে ৪০ কোটি ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ২০২টি পাবে শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে ১ জানুয়ারি প্রাথমিক স্তরের সব পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে। এদিন মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা পাবে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ের বই। নতুন পাঠ্যপুস্তকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিষয়বস্তু ও গ্রাফিতি স্থান পেয়েছে।
এনসিটিবি সূত্র জানায়, নবম-দশম শ্রেণির পাশাপাশি পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির বাংলা ও ইংরেজি পাঠ্যবইয়েও বিভিন্ন প্রবন্ধ-কবিতা সংযোজন-বিয়োজন হচ্ছে। যেখানে স্থান পেয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিষয়বস্তু। এছাড়াও মওলানা ভাসানী, তাজউদ্দীন আহমদ, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও জেনারেল ওসমানীর অবদানের কথা নতুন করে স্থান পেয়েছে পাঠ্যপুস্তকে।
আগামী জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া নতুন শিক্ষাবর্ষে বিনামূল্যের এসব পাঠ্যবই হাতে পাবে শিক্ষার্থীরা। তবে বছরের শুরুতেই সব শিক্ষার্থী হাতে সব নতুন পাঠ্যবই পাবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কা থাকলেও এনসিটিবি কর্তৃপক্ষ বলছে, ১ জানুয়ারি সব শিক্ষার্থীর হাতেই পাঠ্যবই পৌঁছাবে।
এ বিষয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. একেএম রিয়াজুল হাসান বলেন, পয়লা জানুয়ারিতে প্রাথমিক স্তরের সব পাঠ্যপুস্তক শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে। মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরাও পয়লা জানুয়ারি বই হাতে পাবে, তবে কিছু বই বাকি থাকবে, তা আমরা ২০ জানুয়ারির মধ্যে সবার হাতে তুলে দিতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, মাধ্যমিক স্তরের দশম শ্রেণির বইয়ের ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তাদের যেহেতু পুরোনো কারিক্যুলামে ২০২৬ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিতে হবে, সেহেতু তারা যাতে বছরের শুরুতেই সব বই হাতে পায়, সেদিকে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. একেএম রিয়াজুল হাসান বলেন, বিগত ১৫ বছরের কোনো বছরই ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীরা বই হাতে পায়নি, বরং বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার নিজেদের ফেইক সাফল্য তুলে ধরতে লোক দেখানো বছরের প্রথম দিন বই উৎসব করেছে। এর মাধ্যমে জাতির সঙ্গে বড় ধরনের প্রতারণা আর রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় করা হয়েছে। ফলে এবার বই উৎসব হবে না। উৎসব না হলেও বছরের প্রথম দিনই আমরা সব শিক্ষার্থীর হাতে পাঠ্যবই পৌঁছে দেব।
এবার দেশের অভ্যন্তরেই ৬৮০টি লটে ১০০টি ছাপাখানায় পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের কাজ দেওয়া হয়। এরই মধ্যে প্রাথমিক স্তরের মুদ্রণের কাজ শেষে জেলা পর্যায়ে বিতরণ করা হচ্ছে। অন্যদিকে মাধ্যমিক স্তরে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ের পুস্তক মুদ্রণ শেষে জেলা পর্যায়ে বিতরণ করা হবে।
পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ ও বিতরণের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত এনসিটিবির সদস্য (পাঠ্যপুস্তক) প্রফেসর ড. রিয়াদ চৌধুরী বলেন, ১ সেপ্টেম্বর শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক-সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র প্রকাশের পর আমরা এক অসাধ্যকে সাধন করেছি। কেননা, অতি অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের রাত-দিন পরিশ্রম করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করতে হচ্ছে।
পাঠ্যপুস্তকে দুই ধরনের পরিমার্জন করা হয়েছে, এটা খুবই জটিল কাজ। এরপরও আমরা আশা করছি জানুয়ারির শুরুতেই সব শিক্ষার্থীর হাতে পাঠ্যপুস্তক পৌঁছাতে সক্ষম হব। ইতোমধ্যে প্রাথমিকের বেশিরভাগ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ শেষে জেলা পর্যায়ে বিতরণের কাজ শুরু হয়েছে। আনুষ্ঠানিকতা শেষে মাধ্যমিকের পাঠ্যপুস্তকও মুদ্রণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে।
এনসিটিবির দেওয়া তথ্যমতে, এবার পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ হচ্ছে ৪০ কোটি ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ২০২টি। এর মধ্যে প্রাথমিকের ৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫৫টি এবং মাধ্যমিকে ৩০ কোটি ৯৬ লাখ ১২ হাজার। এই বিপুল পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণে এবার খরচ হচ্ছে প্রায় এক হাজার ৮০০ কোটি টাকা। প্রথমে ১২৫০ কোটি টাকা বাজেট নির্ধারণ করা হলেও পরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮০০ কোটি টাকা। চলতি বছর নতুন বই ছাপার খরচের চেয়ে তা ৪০০ কোটি টাকা বেশি। চলতি ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে ২০২৩ সালের শেষে ৩০ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার কপি নতুন বই ছাপানো হয়েছিল। এজন্য খরচ হয়েছিল এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা। সে হিসাবে এ বছর ব্যয় বেশি হবে ৪০০ কোটি টাকা।
নতুন বছরে বিনামূল্যে ৪০ কোটি ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ২০২টি পাবে শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে ১ জানুয়ারি প্রাথমিক স্তরের সব পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে। এদিন মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা পাবে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ের বই। নতুন পাঠ্যপুস্তকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিষয়বস্তু ও গ্রাফিতি স্থান পেয়েছে।
এনসিটিবি সূত্র জানায়, নবম-দশম শ্রেণির পাশাপাশি পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির বাংলা ও ইংরেজি পাঠ্যবইয়েও বিভিন্ন প্রবন্ধ-কবিতা সংযোজন-বিয়োজন হচ্ছে। যেখানে স্থান পেয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিষয়বস্তু। এছাড়াও মওলানা ভাসানী, তাজউদ্দীন আহমদ, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও জেনারেল ওসমানীর অবদানের কথা নতুন করে স্থান পেয়েছে পাঠ্যপুস্তকে।
আগামী জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া নতুন শিক্ষাবর্ষে বিনামূল্যের এসব পাঠ্যবই হাতে পাবে শিক্ষার্থীরা। তবে বছরের শুরুতেই সব শিক্ষার্থী হাতে সব নতুন পাঠ্যবই পাবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কা থাকলেও এনসিটিবি কর্তৃপক্ষ বলছে, ১ জানুয়ারি সব শিক্ষার্থীর হাতেই পাঠ্যবই পৌঁছাবে।
এ বিষয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. একেএম রিয়াজুল হাসান বলেন, পয়লা জানুয়ারিতে প্রাথমিক স্তরের সব পাঠ্যপুস্তক শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে। মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরাও পয়লা জানুয়ারি বই হাতে পাবে, তবে কিছু বই বাকি থাকবে, তা আমরা ২০ জানুয়ারির মধ্যে সবার হাতে তুলে দিতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, মাধ্যমিক স্তরের দশম শ্রেণির বইয়ের ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তাদের যেহেতু পুরোনো কারিক্যুলামে ২০২৬ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিতে হবে, সেহেতু তারা যাতে বছরের শুরুতেই সব বই হাতে পায়, সেদিকে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. একেএম রিয়াজুল হাসান বলেন, বিগত ১৫ বছরের কোনো বছরই ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীরা বই হাতে পায়নি, বরং বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার নিজেদের ফেইক সাফল্য তুলে ধরতে লোক দেখানো বছরের প্রথম দিন বই উৎসব করেছে। এর মাধ্যমে জাতির সঙ্গে বড় ধরনের প্রতারণা আর রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় করা হয়েছে। ফলে এবার বই উৎসব হবে না। উৎসব না হলেও বছরের প্রথম দিনই আমরা সব শিক্ষার্থীর হাতে পাঠ্যবই পৌঁছে দেব।
এবার দেশের অভ্যন্তরেই ৬৮০টি লটে ১০০টি ছাপাখানায় পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের কাজ দেওয়া হয়। এরই মধ্যে প্রাথমিক স্তরের মুদ্রণের কাজ শেষে জেলা পর্যায়ে বিতরণ করা হচ্ছে। অন্যদিকে মাধ্যমিক স্তরে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ের পুস্তক মুদ্রণ শেষে জেলা পর্যায়ে বিতরণ করা হবে।
পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ ও বিতরণের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত এনসিটিবির সদস্য (পাঠ্যপুস্তক) প্রফেসর ড. রিয়াদ চৌধুরী বলেন, ১ সেপ্টেম্বর শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক-সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র প্রকাশের পর আমরা এক অসাধ্যকে সাধন করেছি। কেননা, অতি অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের রাত-দিন পরিশ্রম করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করতে হচ্ছে।
পাঠ্যপুস্তকে দুই ধরনের পরিমার্জন করা হয়েছে, এটা খুবই জটিল কাজ। এরপরও আমরা আশা করছি জানুয়ারির শুরুতেই সব শিক্ষার্থীর হাতে পাঠ্যপুস্তক পৌঁছাতে সক্ষম হব। ইতোমধ্যে প্রাথমিকের বেশিরভাগ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ শেষে জেলা পর্যায়ে বিতরণের কাজ শুরু হয়েছে। আনুষ্ঠানিকতা শেষে মাধ্যমিকের পাঠ্যপুস্তকও মুদ্রণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে।
এনসিটিবির দেওয়া তথ্যমতে, এবার পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ হচ্ছে ৪০ কোটি ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ২০২টি। এর মধ্যে প্রাথমিকের ৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫৫টি এবং মাধ্যমিকে ৩০ কোটি ৯৬ লাখ ১২ হাজার। এই বিপুল পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণে এবার খরচ হচ্ছে প্রায় এক হাজার ৮০০ কোটি টাকা। প্রথমে ১২৫০ কোটি টাকা বাজেট নির্ধারণ করা হলেও পরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮০০ কোটি টাকা। চলতি বছর নতুন বই ছাপার খরচের চেয়ে তা ৪০০ কোটি টাকা বেশি। চলতি ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে ২০২৩ সালের শেষে ৩০ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার কপি নতুন বই ছাপানো হয়েছিল। এজন্য খরচ হয়েছিল এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা। সে হিসাবে এ বছর ব্যয় বেশি হবে ৪০০ কোটি টাকা।
‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার ছিল ইসলামবিদ্বেষী। ইসলামকে দেশ থেকে উৎখাত করাই ছিল তাদের মূল টার্গেট’
৪ ঘণ্টা আগেএখন শেখ হাসিনাকে দেখভালের দায়িত্ব ভারতেরই এবং ভারত সেই দায়িত্ব নিয়েছে। শেখ হাসিনা দীর্ঘ সময়ের জন্য ভারতেই থাকবেন এটাই এখন সবচেয়ে বড় সত্যি। কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, শেখ হাসিনা ইসুতে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কে অস্বস্তি তৈরি হলেও তাকে আশ্রয় দেওয়া ছাড়া ভারতের সামনে আর কোনো পথ নেই।
৯ ঘণ্টা আগেবিগত সরকারের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অনিয়ম বিষয়ে এই সরকার একটি কমিটি করেছে। শ্বেতপত্র প্রণয়ন নামে এই কমিটি তাদের রিপোর্টও জমা দিয়েছে। রিপোর্টেও উল্লেখ করা হয়েছে জিডিপি, মূল্যস্ফীতি ও মাথাপিছু আয়ের পরিসংখ্যানে গোঁজামিল ছিলো। জনগণকে এক ধাঁধার মধ্যে ফেলে ‘উচ্চতর প্রবৃদ্ধির' কাল্পনিক গল্প শোনানো হয়েছে
১০ ঘণ্টা আগেজুলাই বিপ্লবের দিন ৫ আগস্ট সাড়ে ১২ ঘণ্টা সংসদ ভবনের বাংকারে আত্মগোপনে ছিলেন সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। এরপর সেনাবাহিনী তাকে ক্যান্টনমেন্টে সেনা হেফাজতে নিয়ে যায়।
১ দিন আগে