টেলিভিশন নাটকে স্ট্যান্ড-আপ কমেডি চর্চা করছিলেন কয়েকমাস ধরে। হঠাৎ ফয়জুল আকবর রিফাত ভাই কল করে জানালেন, এনটিভিতে ‘হা-শো’র অডিশনের ব্যাপারে। আগপাছ না ভেবেই জনপ্রিয় স্ট্যান্ড-আপ কমেডি শো ‘মার্সেল প্রেজেন্টস ‘হা-শো’র পঞ্চম মৌসুমে নাম লেখালেন। এরপর থেকেই বাজিমাত শুরু।
আতিকুর রহমান, চবি
টেলিভিশন নাটকে স্ট্যান্ড-আপ কমেডি চর্চা করছিলেন কয়েকমাস ধরে। হঠাৎ ফয়জুল আকবর রিফাত ভাই কল করে জানালেন, এনটিভিতে ‘হা-শো’র অডিশনের ব্যাপারে। আগপাছ না ভেবেই জনপ্রিয় স্ট্যান্ড-আপ কমেডি শো ‘মার্সেল প্রেজেন্টস ‘হা-শো’র পঞ্চম মৌসুমে নাম লেখালেন। এরপর থেকেই বাজিমাত শুরু। বিস্তারিত জানাচ্ছেন- রুমান হাফিজ।
সাবরিনা করিম। বাড়ি ফেনী জেলায়। বাবার চাকরির সুবাদে ছোটোবেলা থেকেই চট্টগ্রাম শহরে। পড়ছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের চতুর্থ বর্ষে। বিভাগের সেরা রেজাল্টও তার দখলে। শুরুটা কেমন করে জানতে চাইলে সাবরিনা বলেন, স্কুলে প্রথমবারের মতো গানের ক্লাসে ভর্তি হই। বাসা থেকেই দিয়েছে। সেখানে একবছর গান চর্চা চলে। এরপর পড়াশোনার বাইরে আর কোনো কিছুর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ মেলেনি। ইচ্ছা থাকলেও বাসা থেকে সহযোগিতা পাইনি।
এবার মেললো ডানা
২০১৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে স্বপ্নেরা ডানা মেলার সুযোগ পেলো। এখন আর সাবরিনাকে থামায় কে! বাসা থেকে আগের মতো চাপ নেই, হয়তো বুঝতে পারছেন মেয়ে এখন বড় হয়েছে। নিজের ভালো মন্দ বুঝার ক্ষমতা নিশ্চয়ই হয়েছে। বাবা মায়ের ধারণা বাস্তবে রূপ দিতে সৃজনশীল নানা কাজে নিজেকে যুক্ত করতে শুরু করলেন। এরইমধ্যে বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রে নাম অন্তর্ভুক্ত হয়। প্রথমে উপস্থাপনা তারপর অভিনয়। একে একে সব শাখায় নিজেকে প্রমাণের চেষ্টা চালিয়ে যান।
‘হা শো’র জার্নিটা..
সবসময় ব্যতিক্রমী চিন্তার লালন করতে ভালোবাসেন সাবরিনা। অন্তত তার কাজের মধ্যেও সেটা দেখতে পাওয়া যায়। ‘হা-শো’তে যখন অডিশন দিতে যাবেন তখন মাথায় আসে ভিন্ন কিছুর, যেটা আগে কেউ করেনি। চিন্তার প্রতিফলন ঘটিয়ে একদম প্রথম দিন থেকে সঙ্গে আরেকজনকে নিয়ে যৌথ পারফর্মেন্স করতে লাগলেন। সফল হলেন। বিভাগীয় অডিশন পেরিয়ে দেশ সেরা ৩৬ জনের মধ্যে জায়গা করে নেন। সাবরিনা বলছিলেন, এরআগে কমেডি শো তে কোথাও ছেলে-মেয়ে যৌথ পারফর্মেন্স করে নি। আমি সেই চিন্তা থেকে মাসুদকে সঙ্গে নিলাম। দুজন মিলে সবগুলো পর্বে সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করছি। যদিও অনেক কষ্ট করতে হয়। একক পারফর্মেন্স এর চাইতে যৌথ পারফর্মেন্স এ পার্থক্য অনেক। আল্লাহর রহমতে আমরা দুটি পর্বে সেরা হয়ে পুরস্কার পেয়েছি। এখন সেরা বারো তে আছি। সামনে কয়েকটি পর্ব শেষ হলেই ফাইনাল। এখন সেদিকেই আমাদের চোখ।
‘ইউ আর এ বস’
সাবরিনা বলেন, যৌথ পারফর্মেন্সের জন্য যতো বেশি পরিশ্রম করতে হয় তা আমাদের জায়গা থেকে চেষ্টা করছি। কখনো রাত দুইটা আবার কখনো চারটা বাজে আমাদের প্রস্তুতি শেষ করতে। এক্ষেত্রে আমাদের গ্রুমারেরা যথেষ্ট আন্তরিকতার সঙ্গে সহায়তা করেন। তাদের অবদান চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে সবসময়। তো একবার আমি আর মাসুদ দৈত্যের চরিত্রে কমেডি করি। তখন শুনি ওইদিন অভিনেতা সজল ভাইয়া নাকি অতিথি হিসেবে আসবেন। আমার পছন্দের একজন মানুষ সরাসরি দেখবো তাও আমার পারফরম্যান্সের দিনে। এদিকে দৈত্যের চরিত্রের কারণে মেকাপ নিতে হয়েছে দৈত্যদের মতো করে! কেমন জানি করতেছিলো সেদিন। সব উত্তেজনার অবসান ঘটলো সজল ভাই যখন গ্রীণ রুমে গিয়ে বললেন, ‘ইউআর এ বস’।
যতো কাজে সাবরিনা
গান, অভিনয়, মডেলিং এবং উপস্থাপনার পাশাপাশি এবারই প্রথম কোনো কমেডি রিয়্যালিটি শো তে অংশগ্রহণ। আর এটাই তার চাওয়ার অন্যতম একটা বিষয় ছিলো। ‘হা-শো’র মঞ্চটা সাবরিনার জন্য অভিনয়, নাচ, গানের সঙ্গে স্ট্যান্ড-আপ কমেডির ফুল প্যাকেজ বলা যায়। ফয়জুল আকবর রিফাতের পুরোপুরি তত্বাবধানে ‘হা-শো’তে সাবরিনার নতুন যাত্রা। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুলেননি তিনি।
সম্প্রতি কাজ করেছেন বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জন্য তৈরি ‘স্বপ্ন বিলাস’ নাটকে, বাংলাভিশনের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘টক-ঝাল-মিষ্টি’ তে অংশগ্রহণ ছাড়াও বিভিন্ন নাটকে অভিনয় করছেন।
আগামীর দিনগুলোতে
সবার মতো আমার পরিবার চায় লেখাপড়া শেষে করে ভালো কোনো চাকরি করতে কিন্তু আমার অন্তত সেদিকে আগ্রহ নেই। তার মতে চাকরি ছাড়াও যে ভালো কাজ ভালো কিছু করা যায় সেটা আমি করে দেখাতে চাই। উপস্থাপনা আমার প্রথম পছন্দ আর ভালোবেসে এটি চালিয়ে যাবো সবসময়। সেই সঙ্গে অভিনয় জগতে পদচারণা আরো সমৃদ্ধ করতে চান তবে শুধু নায়িকা চরিত্র ছাড়াও ব্যতিক্রমী চরিত্রে নিজেকে সম্পৃক্ত করার কথাও জানালেন তিনি। ভালো মানের ব্যান্ডের মডেল হতেও বাধা নেই তার।
টেলিভিশন নাটকে স্ট্যান্ড-আপ কমেডি চর্চা করছিলেন কয়েকমাস ধরে। হঠাৎ ফয়জুল আকবর রিফাত ভাই কল করে জানালেন, এনটিভিতে ‘হা-শো’র অডিশনের ব্যাপারে। আগপাছ না ভেবেই জনপ্রিয় স্ট্যান্ড-আপ কমেডি শো ‘মার্সেল প্রেজেন্টস ‘হা-শো’র পঞ্চম মৌসুমে নাম লেখালেন। এরপর থেকেই বাজিমাত শুরু। বিস্তারিত জানাচ্ছেন- রুমান হাফিজ।
সাবরিনা করিম। বাড়ি ফেনী জেলায়। বাবার চাকরির সুবাদে ছোটোবেলা থেকেই চট্টগ্রাম শহরে। পড়ছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের চতুর্থ বর্ষে। বিভাগের সেরা রেজাল্টও তার দখলে। শুরুটা কেমন করে জানতে চাইলে সাবরিনা বলেন, স্কুলে প্রথমবারের মতো গানের ক্লাসে ভর্তি হই। বাসা থেকেই দিয়েছে। সেখানে একবছর গান চর্চা চলে। এরপর পড়াশোনার বাইরে আর কোনো কিছুর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ মেলেনি। ইচ্ছা থাকলেও বাসা থেকে সহযোগিতা পাইনি।
এবার মেললো ডানা
২০১৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে স্বপ্নেরা ডানা মেলার সুযোগ পেলো। এখন আর সাবরিনাকে থামায় কে! বাসা থেকে আগের মতো চাপ নেই, হয়তো বুঝতে পারছেন মেয়ে এখন বড় হয়েছে। নিজের ভালো মন্দ বুঝার ক্ষমতা নিশ্চয়ই হয়েছে। বাবা মায়ের ধারণা বাস্তবে রূপ দিতে সৃজনশীল নানা কাজে নিজেকে যুক্ত করতে শুরু করলেন। এরইমধ্যে বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রে নাম অন্তর্ভুক্ত হয়। প্রথমে উপস্থাপনা তারপর অভিনয়। একে একে সব শাখায় নিজেকে প্রমাণের চেষ্টা চালিয়ে যান।
‘হা শো’র জার্নিটা..
সবসময় ব্যতিক্রমী চিন্তার লালন করতে ভালোবাসেন সাবরিনা। অন্তত তার কাজের মধ্যেও সেটা দেখতে পাওয়া যায়। ‘হা-শো’তে যখন অডিশন দিতে যাবেন তখন মাথায় আসে ভিন্ন কিছুর, যেটা আগে কেউ করেনি। চিন্তার প্রতিফলন ঘটিয়ে একদম প্রথম দিন থেকে সঙ্গে আরেকজনকে নিয়ে যৌথ পারফর্মেন্স করতে লাগলেন। সফল হলেন। বিভাগীয় অডিশন পেরিয়ে দেশ সেরা ৩৬ জনের মধ্যে জায়গা করে নেন। সাবরিনা বলছিলেন, এরআগে কমেডি শো তে কোথাও ছেলে-মেয়ে যৌথ পারফর্মেন্স করে নি। আমি সেই চিন্তা থেকে মাসুদকে সঙ্গে নিলাম। দুজন মিলে সবগুলো পর্বে সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করছি। যদিও অনেক কষ্ট করতে হয়। একক পারফর্মেন্স এর চাইতে যৌথ পারফর্মেন্স এ পার্থক্য অনেক। আল্লাহর রহমতে আমরা দুটি পর্বে সেরা হয়ে পুরস্কার পেয়েছি। এখন সেরা বারো তে আছি। সামনে কয়েকটি পর্ব শেষ হলেই ফাইনাল। এখন সেদিকেই আমাদের চোখ।
‘ইউ আর এ বস’
সাবরিনা বলেন, যৌথ পারফর্মেন্সের জন্য যতো বেশি পরিশ্রম করতে হয় তা আমাদের জায়গা থেকে চেষ্টা করছি। কখনো রাত দুইটা আবার কখনো চারটা বাজে আমাদের প্রস্তুতি শেষ করতে। এক্ষেত্রে আমাদের গ্রুমারেরা যথেষ্ট আন্তরিকতার সঙ্গে সহায়তা করেন। তাদের অবদান চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে সবসময়। তো একবার আমি আর মাসুদ দৈত্যের চরিত্রে কমেডি করি। তখন শুনি ওইদিন অভিনেতা সজল ভাইয়া নাকি অতিথি হিসেবে আসবেন। আমার পছন্দের একজন মানুষ সরাসরি দেখবো তাও আমার পারফরম্যান্সের দিনে। এদিকে দৈত্যের চরিত্রের কারণে মেকাপ নিতে হয়েছে দৈত্যদের মতো করে! কেমন জানি করতেছিলো সেদিন। সব উত্তেজনার অবসান ঘটলো সজল ভাই যখন গ্রীণ রুমে গিয়ে বললেন, ‘ইউআর এ বস’।
যতো কাজে সাবরিনা
গান, অভিনয়, মডেলিং এবং উপস্থাপনার পাশাপাশি এবারই প্রথম কোনো কমেডি রিয়্যালিটি শো তে অংশগ্রহণ। আর এটাই তার চাওয়ার অন্যতম একটা বিষয় ছিলো। ‘হা-শো’র মঞ্চটা সাবরিনার জন্য অভিনয়, নাচ, গানের সঙ্গে স্ট্যান্ড-আপ কমেডির ফুল প্যাকেজ বলা যায়। ফয়জুল আকবর রিফাতের পুরোপুরি তত্বাবধানে ‘হা-শো’তে সাবরিনার নতুন যাত্রা। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুলেননি তিনি।
সম্প্রতি কাজ করেছেন বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জন্য তৈরি ‘স্বপ্ন বিলাস’ নাটকে, বাংলাভিশনের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘টক-ঝাল-মিষ্টি’ তে অংশগ্রহণ ছাড়াও বিভিন্ন নাটকে অভিনয় করছেন।
আগামীর দিনগুলোতে
সবার মতো আমার পরিবার চায় লেখাপড়া শেষে করে ভালো কোনো চাকরি করতে কিন্তু আমার অন্তত সেদিকে আগ্রহ নেই। তার মতে চাকরি ছাড়াও যে ভালো কাজ ভালো কিছু করা যায় সেটা আমি করে দেখাতে চাই। উপস্থাপনা আমার প্রথম পছন্দ আর ভালোবেসে এটি চালিয়ে যাবো সবসময়। সেই সঙ্গে অভিনয় জগতে পদচারণা আরো সমৃদ্ধ করতে চান তবে শুধু নায়িকা চরিত্র ছাড়াও ব্যতিক্রমী চরিত্রে নিজেকে সম্পৃক্ত করার কথাও জানালেন তিনি। ভালো মানের ব্যান্ডের মডেল হতেও বাধা নেই তার।
খোলা আকাশের নিচে অর্ধশতাধিক মাটির চুলায় বানানো হয় বাহারি সব পিঠা। স্থানীয় কিছু ব্যক্তি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এসব দোকানের উদ্যোক্তা। কারিগর স্থানীয় নারীরা।
৪ দিন আগেবিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হলের সামনে হোটেলের অবস্থান। নামকরণের বিষয়ে বলেন, শুরুতে দোকানের কোনো নাম ছিল না। খাবার বিক্রি শুরু হলে শিক্ষার্থীরাই বেশি আসত। আমার বাড়ি ঢাকা বলে সবাই ঢাকার হোটেল বলত। এরপর থেকে এই নামেই পরিচিতি লাভ করে। পরবর্তীতে নাম দিলাম ‘ঢাকা হোটেল’।
৯ দিন আগেশীত আমাদের প্রকৃতির বৈচিত্র্যময় রূপের একটি। রাতে পাতায় পাতায় কুয়াশা পড়ে। গাম্ভীর্যময় বৈশিষ্ট্যের জন্য শীতের সকাল বছরের অন্য ঋতুর থেকে স্বতন্ত্র। তাইতো কবি সুকান্ত বলেছেন, ‘শীতের সকাল/দরিদ্রের বস্ত্রের আকাল/শীতের সকাল/অসাম্যের কাল/ধনীর সুখ আর আনন্দ/ শ্রেণি সংগ্রাম এ নিয়ে চলে দ্বন্দ্ব।’
৯ দিন আগে