বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন শহীদ জুয়েল রানা
টুকু প্রধান, গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা)
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত গোবিন্দগঞ্জের যুবক জুয়েল রানাকে হারিয়ে শোকে
এখন মূহ্যমান তার অসহায় বাবা-মা। আন্দোলনের শেষ দিনে গাজীপুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন জুয়েল রানা।
তার বাবার নাম মমতাজুর রহমান ব্যাপারী এবং মায়ের নাম জমেলা বেগম।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শালমারা ইউনিয়নের শাখাহাতী গ্রামের দরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান জুয়েল রানা। সে ছিল বাবা-মায়ের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। গাজীপুরে একটি গার্মেন্টস কারখানায় পোশাককর্মী হিসেবে চাকরি করত। তার উপার্জনের উপর ভর করেই চলত ওই পরিবারটি। মা, বাবা, স্ত্রী এবং অবুঝ দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে ছিল তাদের সাজানো-গোছানো ছোট সংসার।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন চিরপ্রতিবাদী যুবক জুয়েল রানা। আন্দোলনের শেষ দিনে হাসিনা সরকারের পতনের খবরে আনন্দ মিছিলে অংশ নিয়ে গাজীপুরে আনসার একাডেমির সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সে। স্থানীয় লোকজন মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ওই দিন হাসপাতালে আহতদের অনেক ভিড় থাকায় দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে চিকিৎসাসেবা পাওয়ার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে জুয়েল রানা।
পরিবারের উপার্জনক্ষম একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন তার বাবা-মা। জুয়েলের বিষয়ে জানতে চাইলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার মা। কৃষক পিতাও অনেকটাই বাকরুদ্ধ। তিনি প্রতিদিনই ছেলের কবরে যান এবং ছেলের কবরের পরিচর্যা করেন। তবে তিনি ছেলে হত্যার উপযুক্ত বিচার চান।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে ঢাকার গাজীপুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহত শহীদ জুয়েল রানার কবর জিয়ারত করেন। পরে তিনি নিহত জুয়েল রানার বাবা মমতাজুর রহমান ব্যাপারী এবং মা জমেলা বেগমের সঙ্গে দেখা করে তাদের খোঁজখবর নেন।
এ ছাড়াও বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে শহীদ জুয়েল রানার বাবা-মাকে আর্থিক সহযোগিতা দেয়া হয়েছে। জুয়েলকে আর কখনো ফিরে পাবে না তার বাবা মা। কিন্তু এই হত্যার উপযুক্ত বিচার ও অসহায় পরিবারকে সরকারিভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হলে কিছুটা হলেও স্বান্তনা পাবে শহীদ জুয়েল রানার বাবা মা।এমনটাই সবার প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত গোবিন্দগঞ্জের যুবক জুয়েল রানাকে হারিয়ে শোকে
এখন মূহ্যমান তার অসহায় বাবা-মা। আন্দোলনের শেষ দিনে গাজীপুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন জুয়েল রানা।
তার বাবার নাম মমতাজুর রহমান ব্যাপারী এবং মায়ের নাম জমেলা বেগম।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শালমারা ইউনিয়নের শাখাহাতী গ্রামের দরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান জুয়েল রানা। সে ছিল বাবা-মায়ের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। গাজীপুরে একটি গার্মেন্টস কারখানায় পোশাককর্মী হিসেবে চাকরি করত। তার উপার্জনের উপর ভর করেই চলত ওই পরিবারটি। মা, বাবা, স্ত্রী এবং অবুঝ দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে ছিল তাদের সাজানো-গোছানো ছোট সংসার।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন চিরপ্রতিবাদী যুবক জুয়েল রানা। আন্দোলনের শেষ দিনে হাসিনা সরকারের পতনের খবরে আনন্দ মিছিলে অংশ নিয়ে গাজীপুরে আনসার একাডেমির সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সে। স্থানীয় লোকজন মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ওই দিন হাসপাতালে আহতদের অনেক ভিড় থাকায় দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে চিকিৎসাসেবা পাওয়ার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে জুয়েল রানা।
পরিবারের উপার্জনক্ষম একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন তার বাবা-মা। জুয়েলের বিষয়ে জানতে চাইলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার মা। কৃষক পিতাও অনেকটাই বাকরুদ্ধ। তিনি প্রতিদিনই ছেলের কবরে যান এবং ছেলের কবরের পরিচর্যা করেন। তবে তিনি ছেলে হত্যার উপযুক্ত বিচার চান।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে ঢাকার গাজীপুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহত শহীদ জুয়েল রানার কবর জিয়ারত করেন। পরে তিনি নিহত জুয়েল রানার বাবা মমতাজুর রহমান ব্যাপারী এবং মা জমেলা বেগমের সঙ্গে দেখা করে তাদের খোঁজখবর নেন।
এ ছাড়াও বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে শহীদ জুয়েল রানার বাবা-মাকে আর্থিক সহযোগিতা দেয়া হয়েছে। জুয়েলকে আর কখনো ফিরে পাবে না তার বাবা মা। কিন্তু এই হত্যার উপযুক্ত বিচার ও অসহায় পরিবারকে সরকারিভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হলে কিছুটা হলেও স্বান্তনা পাবে শহীদ জুয়েল রানার বাবা মা।এমনটাই সবার প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।
রাজবাড়ীর রাজীব খানের শরীর থেকে ৩০টির মতো গুলি বের করা হয়েছে । এখনও কানের লতির নিচে, ঘাড়ে, গলায়, হাতের কব্জি এবং স্পর্শকাতর স্থানে গুলি রয়ে গেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ফরিদপুর জনতা ব্যাংক মোড়ে ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি করে পুলিশ।
১২ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন তখন তুঙ্গে। গত বছরের ১৯ জুলাই বিকাল ৫টা। পুলিশ ঢাকার উত্তরায় মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য ধাওয়া করে। তখন মিছিলকারীরা নাইমা সুলতানাদের বাসার নিচে অবস্থান নেয়।
২ দিন আগে২০২৪ সালের ফ্যাসিবাদ পতনের গণআন্দোলনে রাস্তায় নেমেছিলেন দেশের ছাত্র-জনতা। বিক্ষোভ মিছিলে রাজপথ যখন উত্তাল তখন স্লোগানে বারুদ হয়ে ফুটেছিলেন মো. সামিরুল।
৪ দিন আগেচার বছর আগে জন্ম নেয়া জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহিদ হওয়া আহাদের কবর দাদার বাড়ির আঙিনার মেহগনি বাগানে। নাতির ছবি নিয়ে সেখানেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন দাদি। এ বাড়িতে আর কেউই থাকেন না। তবে নাতির মায়া ছেড়ে কোথাও যেতে রাজি নন বৃদ্ধা দাদি।
৪ দিন আগে