জালাল উদ্দিন মনির, (নবীনগর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া
‘আব্বা আমি আন্দোলনে আছি, এই মুহূর্তে আসতে পারবো না। বিজয় নিয়েই বাসায় ফিরবো। বাঁচলে বীর, মরলে শহীদ’। এটাই ছিলো বাবা শফিকুল ইসলামের সঙ্গে শহীদ তানজিল মাহমুদ সুজয়ের শেষ কথা।
সুজয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিটঘর গ্রামের শফিকুল ইসলামের একমাত্র ছেলে। গাজীপুর ভাওয়াল সরকারি বদরে আলম কলেজের বাণিজ্য বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, আশুলিয়া থানার অদূরে একটি ভাড়া বাসায় সুজয় তার বাবার সাথে থাকতেন। ছোট ২ বোন এনি ও স্বর্ণাকে নিয়ে মা তাহমিনা থাকতেন গ্রামের বাড়িতে। বৈষম্যবিরুধী আন্দোলনে প্রথম থেকেই সরব ছিলেন সুজয়। প্রতিদিনের মতোই ৫ আগস্ট যোগ দেন আন্দোলনে। দুপুরের পর থেকে সারা দেশ যখন বিজয় উৎসব পালন করছে ঠিক সেই সময়ে বিকেলে উল্লাসিত জনতার মিছিলে গুলি চালায় সাভারের আশুলিয়া থানা পুলিশ। গুলিতে বাইপালে শহীদ হন তানজিল মাহমুদ সুজয় (১৯), পরে পুলিশ তার মরদেহ ভ্যান গাড়িতে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীসূত্র জানায়, আশুলিয়ার ইসলাম পলিমারস অ্যান্ড প্লাস্টিসাইজারস লিমিটেডের অফিসার ফ্যামিলি কোয়াটারের দেয়াল ঘেষে গুলিবিদ্ধ সুজয়সহ ১১ জন শিক্ষার্থীর মরদেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ছিল। পরে পুলিশ সদস্যরা লাশগুলো একত্রিত করে ভ্যানের ওপর স্তুপ করে রাখে। লাশগুলো থানায় পার্ক করা একটি পিকআপে তুলে আগুন দিয়ে থানা থেকে পালিয়ে যায় পুলিশ সদস্যরা। সেদিনের পৈশাচিকতার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
সুজয়ের বাবা বলেন, সুজয় মিছিলে থাকা অবস্থায় আমার সাথে মোবাইলে শেষ কথা হয়। বাসায় চলে আসার কথা বললে তখন সুজয় আমাকে বলে, আব্বা আমি আন্দোলনে আছি, এই মুহূর্তে আসতে পারবো না। বিজয় নিয়েই বাসায় ফিরবো। বাঁচালে বীর,মরলে শহীদ, এরপর বেলা ৩টার পর ছেলেকে ফোনে না পেয়ে বিভিন্ন হাসপাতালসহ সম্ভব সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করি। ওইদিন তার সন্ধান মিলেনি। পর দিন অগ্নিদগ্ধ থানার পিকআপ ভ্যানের লাশের স্তুপ থেকে তাকে সনাক্ত করা হয়।
একমাত্র ছেলে সন্তানের এমন মৃত্যুতে পাগলপ্রায় সুজনের মা। তিনি বলেন, কত স্বপ্ন ছিল, আমার সুজয় পরিবারের হাল ধরবে, বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। এমন হৃদয়বিদারক হত্যার সাথে জড়িতদের দ্রুত বিচার দাবি করেন তার স্বজনরা। ৭ আগস্ট (বুধবার) সকাল ৯ টায় নিজ বাড়ি নবীনগরের বিটঘর কবরস্থানে সুজয়ের লাশ দাফন করা হয়।
‘আব্বা আমি আন্দোলনে আছি, এই মুহূর্তে আসতে পারবো না। বিজয় নিয়েই বাসায় ফিরবো। বাঁচলে বীর, মরলে শহীদ’। এটাই ছিলো বাবা শফিকুল ইসলামের সঙ্গে শহীদ তানজিল মাহমুদ সুজয়ের শেষ কথা।
সুজয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিটঘর গ্রামের শফিকুল ইসলামের একমাত্র ছেলে। গাজীপুর ভাওয়াল সরকারি বদরে আলম কলেজের বাণিজ্য বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, আশুলিয়া থানার অদূরে একটি ভাড়া বাসায় সুজয় তার বাবার সাথে থাকতেন। ছোট ২ বোন এনি ও স্বর্ণাকে নিয়ে মা তাহমিনা থাকতেন গ্রামের বাড়িতে। বৈষম্যবিরুধী আন্দোলনে প্রথম থেকেই সরব ছিলেন সুজয়। প্রতিদিনের মতোই ৫ আগস্ট যোগ দেন আন্দোলনে। দুপুরের পর থেকে সারা দেশ যখন বিজয় উৎসব পালন করছে ঠিক সেই সময়ে বিকেলে উল্লাসিত জনতার মিছিলে গুলি চালায় সাভারের আশুলিয়া থানা পুলিশ। গুলিতে বাইপালে শহীদ হন তানজিল মাহমুদ সুজয় (১৯), পরে পুলিশ তার মরদেহ ভ্যান গাড়িতে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীসূত্র জানায়, আশুলিয়ার ইসলাম পলিমারস অ্যান্ড প্লাস্টিসাইজারস লিমিটেডের অফিসার ফ্যামিলি কোয়াটারের দেয়াল ঘেষে গুলিবিদ্ধ সুজয়সহ ১১ জন শিক্ষার্থীর মরদেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ছিল। পরে পুলিশ সদস্যরা লাশগুলো একত্রিত করে ভ্যানের ওপর স্তুপ করে রাখে। লাশগুলো থানায় পার্ক করা একটি পিকআপে তুলে আগুন দিয়ে থানা থেকে পালিয়ে যায় পুলিশ সদস্যরা। সেদিনের পৈশাচিকতার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
সুজয়ের বাবা বলেন, সুজয় মিছিলে থাকা অবস্থায় আমার সাথে মোবাইলে শেষ কথা হয়। বাসায় চলে আসার কথা বললে তখন সুজয় আমাকে বলে, আব্বা আমি আন্দোলনে আছি, এই মুহূর্তে আসতে পারবো না। বিজয় নিয়েই বাসায় ফিরবো। বাঁচালে বীর,মরলে শহীদ, এরপর বেলা ৩টার পর ছেলেকে ফোনে না পেয়ে বিভিন্ন হাসপাতালসহ সম্ভব সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করি। ওইদিন তার সন্ধান মিলেনি। পর দিন অগ্নিদগ্ধ থানার পিকআপ ভ্যানের লাশের স্তুপ থেকে তাকে সনাক্ত করা হয়।
একমাত্র ছেলে সন্তানের এমন মৃত্যুতে পাগলপ্রায় সুজনের মা। তিনি বলেন, কত স্বপ্ন ছিল, আমার সুজয় পরিবারের হাল ধরবে, বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। এমন হৃদয়বিদারক হত্যার সাথে জড়িতদের দ্রুত বিচার দাবি করেন তার স্বজনরা। ৭ আগস্ট (বুধবার) সকাল ৯ টায় নিজ বাড়ি নবীনগরের বিটঘর কবরস্থানে সুজয়ের লাশ দাফন করা হয়।
বন্ধুদের সাহস দিয়ে অহিদ বলেছেন, তোরা কী ভীতু? ভয় পাস? একদিনতো মরবই, আজকে মরলে দেশের জন্য মরব।
১০ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন চিরপ্রতিবাদী যুবক জুয়েল রানা। আন্দোলনের শেষ দিনে হাসিনা সরকারের পতনের খবরে আনন্দ মিছিলে অংশ নিয়ে গাজীপুরে আনসার একাডেমির সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সে।
১৫ ঘণ্টা আগেস্থানীয় এস এস রোডের ইলিয়ড ব্রিজের কাছে যুবলীগের সন্ত্রাসীরা মিছিলে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সমুন। শহীদের কাতারে যুক্ত হয় তার নাম।
২০ ঘণ্টা আগেকেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদ আরাফাতের (১২) জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ বিশিষ্টজনরা অংশ নেন।
২ দিন আগে