আতিকুর রহমান, চবি
রাজিয়া সুলতানা বৈষম্যবিরোধী জুলাই বিপ্লবে শহীদ আসাদুজ্জামান নূর সূর্যের মা। দিনাজপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যোগ দিয়ে গত ৫ আগস্ট হিলিতে শহিদ হন নবম শ্রেণির এই মেধাবী শিক্ষার্থী। দু’ভাইয়ের মধ্যে সূর্য ছোট। তাকে নিয়েই সব আশা-ভরসা ছিল মায়ের। গত ৪ আগস্টের পর থেকে এ মায়ের আকাশে সূর্য আর উঠেনি।
এ নিয়ে রাজিয়া সুলতানা বলেন, প্রতিদিন মনে হয় সূর্য ডুবে গেছে আর কখনো উঠবে না। এই ভাবনা আমাকে তাড়া করে নিয়ে বেড়ায়। রাতে শুইলেও একই চিন্তা ও ভাবনায় ঘুম আসে না। চোখ বন্ধ হলেই সূর্যের মৃত্যুর ছবি ভেসে ওঠে। আচমকা ঘুম থেকে উঠে বসে থাকি আর কাঁদি। আমার নিকট আত্মীয়-স্বজনরা এই অবস্থা দেখে আমাকে বলে তুই কী করে বাঁচবি।
সম্প্রতি কথা হয় দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে শহিদ সূর্যের মা রাজিয়া সুলতানা ও ভাই সুজন মিয়ার সাথে। শহিদ সূর্যের বাড়ি দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের রাজিয়া সুলতানার ছেলে।
সূর্য (১৫) যখন খুব ছোট তখন তার বাবা মজনু মিয়া মারা যান। এরপর থেকে মা রাজিয়া সুলতানা স্থানীয় হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দরের পাশে অবস্থিত একটি জুট মিলে কাজ করে দুই ছেলেকে নিয়ে অতিকষ্টে সংসার চালাচ্ছিলেন।
রাজিয়া সুলতানা বলেন, ‘সবাই বলে, আমার সূর্য নাকি মারা যায়নি। সে নাকি সবার মাঝে বেঁচে আছে। কিন্তু, কই কারো মাঝে তো আমার বুকের ধনকে খুঁজে পাই না। গত ৪ আগস্ট সকালে ছেলে বলল, মা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে যাচ্ছি। আমি বলেছিলাম, তোমার এসব আন্দোলনে যাওয়ার দরকার নেই। আমরা গরীব মানুষ। আমাদের এসবের কি দরকার। কিন্তু সূর্য তার মাকে সান্তনা দিয়ে, বুঝিয়ে দেশের আন্দোলনরত যুব সমাজের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে আন্দোলনে অংশ নেয়। যাবার সময়, মা সূর্যকে বলেছিল, ‘এসব ঝামেলার কাজে যাচ্ছিস, বাবা তুই খুব সাবধানে থাকিস। বেশি গণ্ডগোল বা ঝামেলা দেখলে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসিস’।
হাকিমপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়ে সূর্য শহিদ হয়েছেন। আমরা শহিদ সূর্যের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে হাকিমপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এই হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে।’
জেলার হাকিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ পরিদর্শক মো. সুজন মিয়া বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট হাকিমপুরে আসাদুজ্জামান নূর সূর্য (১৫) শহিদ হয়েছেন। এই ঘটনায় শহিদ সূর্যের বড় ভাই সুজন মিয়া বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেলে এজাহার নামীয় আসামীসহ তদন্তে প্রাপ্ত এই ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র পেশ করা হবে।
এদিকে দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, জেলার হাকিমপুর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের আসাদুজ্জামান সূর্য বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আগুনে পুড়ে শহিদ হয়েছে। আমি এ জন্যে তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে। ইতোমধ্যে কয়েকজন আসামিকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
রাজিয়া সুলতানা বৈষম্যবিরোধী জুলাই বিপ্লবে শহীদ আসাদুজ্জামান নূর সূর্যের মা। দিনাজপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যোগ দিয়ে গত ৫ আগস্ট হিলিতে শহিদ হন নবম শ্রেণির এই মেধাবী শিক্ষার্থী। দু’ভাইয়ের মধ্যে সূর্য ছোট। তাকে নিয়েই সব আশা-ভরসা ছিল মায়ের। গত ৪ আগস্টের পর থেকে এ মায়ের আকাশে সূর্য আর উঠেনি।
এ নিয়ে রাজিয়া সুলতানা বলেন, প্রতিদিন মনে হয় সূর্য ডুবে গেছে আর কখনো উঠবে না। এই ভাবনা আমাকে তাড়া করে নিয়ে বেড়ায়। রাতে শুইলেও একই চিন্তা ও ভাবনায় ঘুম আসে না। চোখ বন্ধ হলেই সূর্যের মৃত্যুর ছবি ভেসে ওঠে। আচমকা ঘুম থেকে উঠে বসে থাকি আর কাঁদি। আমার নিকট আত্মীয়-স্বজনরা এই অবস্থা দেখে আমাকে বলে তুই কী করে বাঁচবি।
সম্প্রতি কথা হয় দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে শহিদ সূর্যের মা রাজিয়া সুলতানা ও ভাই সুজন মিয়ার সাথে। শহিদ সূর্যের বাড়ি দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের রাজিয়া সুলতানার ছেলে।
সূর্য (১৫) যখন খুব ছোট তখন তার বাবা মজনু মিয়া মারা যান। এরপর থেকে মা রাজিয়া সুলতানা স্থানীয় হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দরের পাশে অবস্থিত একটি জুট মিলে কাজ করে দুই ছেলেকে নিয়ে অতিকষ্টে সংসার চালাচ্ছিলেন।
রাজিয়া সুলতানা বলেন, ‘সবাই বলে, আমার সূর্য নাকি মারা যায়নি। সে নাকি সবার মাঝে বেঁচে আছে। কিন্তু, কই কারো মাঝে তো আমার বুকের ধনকে খুঁজে পাই না। গত ৪ আগস্ট সকালে ছেলে বলল, মা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে যাচ্ছি। আমি বলেছিলাম, তোমার এসব আন্দোলনে যাওয়ার দরকার নেই। আমরা গরীব মানুষ। আমাদের এসবের কি দরকার। কিন্তু সূর্য তার মাকে সান্তনা দিয়ে, বুঝিয়ে দেশের আন্দোলনরত যুব সমাজের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে আন্দোলনে অংশ নেয়। যাবার সময়, মা সূর্যকে বলেছিল, ‘এসব ঝামেলার কাজে যাচ্ছিস, বাবা তুই খুব সাবধানে থাকিস। বেশি গণ্ডগোল বা ঝামেলা দেখলে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসিস’।
হাকিমপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়ে সূর্য শহিদ হয়েছেন। আমরা শহিদ সূর্যের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে হাকিমপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এই হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে।’
জেলার হাকিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ পরিদর্শক মো. সুজন মিয়া বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট হাকিমপুরে আসাদুজ্জামান নূর সূর্য (১৫) শহিদ হয়েছেন। এই ঘটনায় শহিদ সূর্যের বড় ভাই সুজন মিয়া বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেলে এজাহার নামীয় আসামীসহ তদন্তে প্রাপ্ত এই ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র পেশ করা হবে।
এদিকে দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, জেলার হাকিমপুর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের আসাদুজ্জামান সূর্য বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আগুনে পুড়ে শহিদ হয়েছে। আমি এ জন্যে তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে। ইতোমধ্যে কয়েকজন আসামিকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
ছেলের লাশ দেখার পর যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে। তবে আল্লাহর দিকে তাকিয়ে সব মেনে নিয়েছি। আমার স্বামী নুরুল আফসার ৪২ বছর ধরে প্রবাসে থাকেন। এক মেয়ে ও পাঁচ ছেলের মধ্যে বড় ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী। আর ওমর ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছিলেন। ছয় মাস পর ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে বের হওয়ার কথা ছিল তার।
৯ ঘণ্টা আগেটগবগে যুবক হাফেজ মো. সাব্বির হোসেন। বয়স ছিল মাত্র ২২ বছর। অভাবের তাড়নায় সংসারের হাল ধরতে ঢাকায় অফিস সহকারীর চাকরি শুরু করেন।
১৭ ঘণ্টা আগেজুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দুই চোখ হারিয়েছেন ঢাকার মগবাজারের বাসিন্দা সাব্বির আহমেদ। তিনি ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তার বাবা হাফিজ আহমেদ পূর্বে ইমামতি করতেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়।
২ দিন আগেআমার স্বামী বাস চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ৫ আগস্ট তার ডিউটি ছিল না। তিনি বাসায় ঘুমিয়ে ছিলেন। সেদিন দুপুরে রাজধানীর উত্তরার রাজলক্ষ্মীতে গিয়েছিলেন পরিস্থিতি দেখতে।
৩ দিন আগে