Ad

‘বিষাদ সিন্ধু-সিনড্রোমে’ আক্রান্ত রাজনীতি

মিনার রশীদ
প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২: ২৫
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২: ৫৩

মীর মশাররফ হোসেন রচিত ‘বিষাদ সিন্ধু’ উপন্যাসটিকে বাঙালি মুসলিম সমাজে অনেকটা পুতঃপবিত্র গ্রন্থ হিসেবে গণ্য করা হতো। একসময় প্রায় প্রতিটি শিক্ষিত মুসলিম পরিবারে এই বইটির দেখা মিলত। অর্থাৎ, সেই উঠতি বয়সে মুরব্বিদের দেখিয়ে দেখিয়ে যে কয়টি উপন্যাস পড়া যেত, এর মধ্যে বিষাদ সিন্ধু ছিল অন্যতম। কারবালার বেদনাবিধুর ঘটনা নিয়ে উপন্যাসের ডালপালা বিস্তৃত হয়েছে। শেষ দৃশ্যে ইমাম হোসেনের শির কাটছে পাষণ্ড সীমার। কিন্তু কোনোভাবেই তা কাটতে সক্ষম হচ্ছে না! তখন যন্ত্রণাকাতর ইমাম হোসেন বলছেন, ওহে সীমার! আমার নানাজি আমার এই জায়গায় চুম্বন করতেন। তাই তুমি কোনোভাবেই কাটতে পারবে না। তুমি উল্টোদিকে ছুরি চালাও। আর মনে রেখো, এ কথাটি মানলে তোমাকে সঙ্গে না নিয়ে আমি কখনোই বেহেশতে পা রাখব না!

বিষয়টা খুব গোলমেলে মনে হলো। অগ্নিউপাসক সীমার দৃশ্যত এমন কোনো ভালো কাজ করেনি যে, এই পুরস্কার পেতে পারে। আরেকটু বড় হয়ে জানতে পারলাম সীমার একটি কাল্পনিক চরিত্র। তাতে মনের কষ্টটি অনেকটা লাঘব হয়ে যায়। বাঙালি মুসলমানদের মধ্যে এরকম হঠাৎ হঠাৎ মহামানব সাজার এই প্রবণতাকে বা ফ্যাটাল অ্যাট্রাকশনকে সংগত কারণেই ‘বিষাদ সিন্ধু-সিনড্রোম’ নামে অভিহিত করা যেতে পারে।

হায়দরাবাদের নিজাম ও মোগল সম্রাটদের মাঝেও এ রকম অনেক সিনড্রোম কাজ করেছে বলে জানা যায়। আর এর ফলাফল স্পষ্টতই আমরা দেখতে পাচ্ছি এবং উপমহাদেশের মুসলমানদের কেউ প্রত্যক্ষভাবে আর কেউ পরোক্ষভাবে উপভোগ করছি। অভিজাত সুন্দরী নারী দিয়ে এই রাজাকারদের হেরেম ভরিয়ে ফেলা হতো! এসব ছিল মূলত হানি-ট্র্যাপের প্রাথমিক ভার্সন।

অনেক মুসলিম সুলতানের সেনাপতি কিংবা উজিরে আজম থাকতেন হিন্দু। দেখা যেত সেই উজিরে আজমের বা সেনাপতির সুন্দরী বোন বা মেয়েকে সুলতানের হেরেমে উৎসর্গ করা হতো। উল্টোদিক থেকে বললে বলা যায়, হেরেমে নারী সরবরাহকারীদের মধ্য থেকেই কেউ কেউ প্রধান সেনাপতি বা উজিরে আজম হয়ে পড়তেন। আর আমরাও পেয়েছি যুবরাজ সেলিম ও আনার কলির মতো অমর প্রেমকাহিনি! এর রাজনৈতিক দায় সম্ভবত পরিশোধ করতে হচ্ছে আগত সব প্রজন্মকে!

আমাদের জাতীয়তাবাদী ও ইসলামি ঘরানার নেতারা এই বিষাদ সিন্ধু-সিনড্রোমে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন বলে জোর অনুমিত হচ্ছে। সীমারের চেয়েও পাষণ্ড শত্রুকে ক্ষমা করে দেন তারা! যে পত্রিকা দুটি সীমারের চেয়েও বেশি পাশবিকতায় দুই যুগ ধরে বিএনপির গলা কেটেছে, তারেক রহমান ও আরাফাত রহমানকে ভিলেন বানিয়েছে, একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলায় বিএনপিকে সম্পৃক্ত করার জন্য ‘জজ মিয়া’ নাটকের নামে মহানাটক সাজিয়েছে। দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় হাওয়া ভবনকে জড়িয়েছে। অনেক নিরীহ মানুষ ও আলেম-ওলামাদক ভয়ংকর জঙ্গি হিসেবে তুলে ধরেছে। এখন এই মিডিয়া সীমারকে সঙ্গে না নিয়ে বেহেশতে যাবেন না বলে পণ করছেন (অনুমিত হচ্ছ) আমাদের জাতীয়তাবাদী ইমামদের কেউ কেউ।

অথচ এই চামড়ার চোখেই দেখেছি কীভাবে দৈনিক আমার দেশকে রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করে বন্ধ করে দেওয়া হলো, কাগজটির সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান এবং সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে জেলে ভরা হলো, বছরের পর বছর পত্রিকার সম্পাদককে জেলে আটকে রাখা হলো, আদালত প্রাঙ্গণে হত্যাচেষ্টা করে রক্তাক্ত করা হলো। দৈনিক সংগ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠ সম্পাদককে গলায় গামছা বেঁধে টেনে নিয়ে যাওয়া হলো।

প্রথম আলো, ডেইলি স্টারের বেলায় এর কিছুই করা হলো না। শুধু প্রথম আলো, ডেইলি স্টারের হাতে ক্ষতিগ্রস্ত ও সংক্ষুব্ধ কিছু মানুষ প্রতিবাদ জানিয়েছে। পত্রিকার বিরুদ্ধে এ রকম প্রতিবাদ সভ্য দেশেও হয়। তাতেই সংবাদপত্রের স্বাধীনতা গেলো গেলো বলে কান্না শুরু করেছেন খোদ জাতীয়তাবাদী ইমাম ও একই আদর্শের দাবিদার কিছু বুদ্ধিজীবী! উল্লেখ্য, প্রতিবাদের ধরন বা কৌশল নিয়ে আপনি আপত্তি করতেই পারেন। তাই বলে এই ইস্যুতে সেই শয়তানে বুজুর্গের পক্ষ নিয়ে জেহাদ করা কতটুকু সমীচীন হয়েছে?

বাংলাদেশের মিডিয়া জগতে শয়তানে বুজুর্গ হিসেবে গণ্য এদের পুরো আমলনামা দেখলে গা শিউরে উঠবে। আমাদের মেমোরি অনেক আগেই উপচে পড়েছে।

এই বুজুর্গের কাজ শুরু হয়েছিল চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই। এসব আলামত দেখে ২০০৫ সালের ডিসেম্বরে তখনকার সাপ্তাহিক যায়যায়দিনে আমি একটি আর্টিকেল লিখেছিলাম, এর শিরোনাম ছিল ‘মিডিয়ার আক্রমণে দিশেহারা বিএনপি’। সে সময় লেখাটি সুধীজনের মনোযোগ আকর্ষণ করলেও যাদের জন্য লিখেছিলাম, তাদের মনোযোগ বোধ হয় তেমন করে আকৃষ্ট করতে পারেনি।

প্রোপাগান্ডা যুদ্ধের সামগ্রিক কৌশলটি খুবই চিত্তাকর্ষক ছিল। পুরো ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াকে তিনটি স্তরে সজ্জিত করা হয়েছিল। সম্মুখসারিতে রাখা হয়েছিল কথিত চেতনার পক্ষে নির্লজ্জভাবে মিথ্যা বলতে পারবে- এমনসব মিডিয়াকে, যেমন বাংলার বাণী, জনকণ্ঠ ও ভোরের কাগজ। দ্বিতীয় স্তরে রাখা হয়েছিল আরেকটু রয়ে-সয়ে মিথ্যা বলে এমনসব পত্রিকাকে, যেমন ইত্তেফাক, যুগান্তর ও সমকাল। তৃতীয় স্তরে রাখা হয়েছিল প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার। এক-এগারোর প্রাক্কালে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে দৃশ্যপটে হাজির হয় একদা জাতীয়তাবাদী শক্তির বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর হিসেবে বিবেচিত দৈনিক ইনকিলাব। মাওলানা মান্নানের ইন্তেকালের পর দৈনিক ইনকিলাব আগের অবস্থান থেকে ডিগবাজি মেরে ১৮০ ডিগ্রিতে অবস্থান নেয়।

ইলেকট্রনিক মিডিয়া থেকে যোগ হয় চ্যানেল আই এবং তখন বিএনপি নেতাদের মালিকানাধীন বেশকিছু টিভি চ্যানেলের লাইসেন্স দেওয়া হয়। এসব বিজ্ঞ জাতীয়তাবাদী নেতা তাদের টিভি চ্যানেলকে নিরপেক্ষ ইমেজ দিতে গণহারে আওয়ামী কলাকুশলী, সাংবাদিক দিয়ে ভরিয়ে ফেলেন। আশা ছিল, জাতীয়তাবাদী টাকা আওয়ামী মগজকে ব্যবহার করবে। কিন্তু এক-এগারোর নিদানকালে দেখা গেলো আওয়ামী মগজ ব্যবহার করছে জাতীয়তাবাদীদের টাকা ও সম্পদ!

দেশের রাজনীতি, প্রশাসন, সংস্কৃতি- সবকিছু এদের একক নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। এমতাবস্থায় জাতীয়তাবাদী ফ্লেভার নিয়ে যারাই উঠে আসতে চান, তাদের মৌলবাদী অথবা নমশূদ্রদের মিডিয়া হিসেবে প্রচার চালানো হয়। ফলে উঠতি মধ্যবিত্ত সমাজ, যারা শ্রেণি উত্তরণের প্রচেষ্টায় (নিজেকে অগ্রসর চিন্তার মানুষ হিসেবে দেখাতে চায়) সর্বদা নিয়োজিত থাকে তাদের বিরাট অংশ, সেসব কাগজকে হাতে নিতেও সংকোচ বোধ করেন।

মিডিয়া বুজুর্গ তখন নিরপেক্ষতার বয়ান দিতে শুরু করে। কৌশলের অংশ হিসেবেই আওয়ামী লীগের ন্যাংটা সমর্থক মিডিয়াগুলোকেও ‘দলকানা’ হিসেবে অভিহিত করে। আওয়ামী দলকানাদের বিপরীতে জাতীয়তাবাদী ঘরানার সমুদয় পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলকেও দলকানা হিসেবে ট্যাগ করে ফেলে। এভাবে দুই পক্ষের ‘দলকানা’দের কাটাকাটি করে নিরপেক্ষ ময়দানে থাকেন দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্তরের খেলোয়াড়রা। এই কৌশলে নিজের নিরপেক্ষতা আরও পোক্ত করে ফেলে। সঙ্গে বোনাস হিসেবে জুটে যায় জাতীয়তাবাদী শরবত ‘ইনকিলাব’।

এমতাবস্থায় পুরো মিডিয়ার অঘোষিত মোড়ল বনে যায় প্রথম আলো - ডেইলি স্টার। এরা এখন মিডিয়া হাউস থেকে পুরোপুরি ‘পাওয়ার হাউস’ হয়ে পড়ে। এদের অঙ্গুলি হেলনে সরকার পরিবর্তন হয়ে যায়। বলতে গেলে এরা পুরোপুরি একটা দৈত্য বনে যায়। দেশের রাজনীতি, প্রশাসন, সংস্কৃতি- সবকিছু এদের কৃপার পাত্র হয়ে পড়ে। এরা ঠিক করে কারা দেশের বিশিষ্ট নাগরিক আর কারা উগ্রবাদী, সাম্প্রদায়িক।

এমতাবস্থায় বিপরীত ব্লক থেকে দুটি পত্রিকা এই প্রোপাগান্ডা মেশিনের জন্য কিছুটা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়। শফিক রেহমান সম্পাদিত সাপ্তাহিক যায়যায়দিন দৈনিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। অন্যদিকে নয়া দিগন্ত একটু ভিন্ন অবয়ব নিয়ে মার্কেটে আসে। দৈনিক নয়া দিগন্তকে ইসলামি বা জামায়াত ভাবধারার ট্যাগ দিয়ে তথাকথিত এলিট বা অগ্রসর পাঠকদের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে ফেলা হয়। একই কাজ দৈনিক যায়যায়দিনের বেলায় কঠিন হয়ে পড়ে এর সম্পাদক শফিক রেহমানের ব্যক্তিগত ইমেজও সেক্যুলার পরিচিতির জন্য।

তবে এই কাগজটিকে তথা এর সম্পাদককে জব্দ করার সুযোগ খুঁজতে থাকে এবং বিএনপির এক সংস্কারবাদী গাদ্দার নেতাকে এক কর্মী জুতাপেটা করে। সেই ছবিটি হুবহু ছাপিয়ে দেয় দৈনিক যায়যায়দিন। সেদিনই নাকি যায়যায়দিন ও তার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক শফিক রেহমানের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে যায় এবং মালিকপক্ষকে চাপ দিয়ে কাগজটিকে অর্থনৈতিক সংকটে ফেলা হয়েছিল। নানা ছলে-বলে - কৌশলে যায়যায়দিনকে শফিক রেহমানের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় এবং পুরো বিষয়টিতে হাওয়া দিয়েছিল এক-এগারোকে যারা নিজেদের ব্রেইন চাইল্ড হিসেবে ঘোষণা করেছিল, সেই দুটি কাগজ।

এরপর দৈনিক নয়া দিগন্ত ও আমার দেশ তাদের মিশন অব্যাহত রাখে। কিছুদিন পর দৈনিক আমার দেশ আর্থিক সংকটে পড়লে বুয়েট ও আইবিএ গ্র্যাজুয়েট এবং সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান এগিয়ে আসেন। সব প্রোপাগান্ডা মেশিনের জন্য আবারও একটা থ্রেট হিসেবে আবির্ভূত হন। ফলে তার বিরুদ্ধে আলো-স্টার-চ্যানেল আই-সিপিডি-টিআইবি এবং আওয়ামী আদালত একাট্টা হয়ে নেমে পড়ে। সেই ইতিহাস আমরা সবাই জানি। সবাই মিলে তাকে (মাহমুদুর রহমান) ডাকেন ‘বাই চান্স সম্পাদক হিসেবে। আদালত বলে, ট্রুথ ইজ নো ডিফেন্স। একমাত্র ডিফেন্স ছিল মুজিব কোর্ট।

সম্প্রতি উলফা নেতা অরুপ বড়ুয়ার একটি সাক্ষাৎকার আবার ভাইরাল হয়েছে। যে সাক্ষাৎকারটি সময় টিভি খণ্ডিত করে প্রকাশ করেছিল। সাক্ষাৎকারটির সে অংশে বলেছিল যে, এই চালানটিতে তারেক রহমান এবং বাবরের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না, সেই অংশটুকু বাদ দিয়ে প্রচার করেছে।

এই প্রথম আলো - ডেইলি স্টার বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের ফাঁসাতে কম চেষ্টা করেনি। এ ব্যাপারে আমার একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাও রয়েছে!

আমি তখন কিউসি অনার (MV QC honour) জাহাজে চিফ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত । সাধারণত জাহাজকে চট্টগ্রাম বন্দরে বার্থ করার আগে দু-একদিন অ্যাংকরেজে থাকতে হতো। আমরা অ্যাংকরেজে থাকতেই দশ ট্রাক অস্ত্র নিয়ে মহাহুলুস্থুল শুরু হয়ে গেছে। জাহাজ বার্থে আসার পর সেদিনের প্রথম আলো খুলে দেখি, সেই অস্ত্র বহনকারী জাহাজ হিসেবে আমাদের কিউসি অনারের নামটি স্পষ্টভাবে লিখেছে। প্রথম আলোয় ছাপা হওয়া সেই সংবাদটি এনে আমি দেখালাম জাহাজের সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ারের স্ত্রীকে। ভাবি নিজেও ওই সময় একই জাহাজে স্বামীর সঙ্গে সেইল করছিলেন। বিশেষ করে ওই ভাবিকে দেখিয়েছিলাম; কারণ উনি আওয়ামী পরিবারের মেয়ে ছিলেন। সংবাদটি দেখে উনি হতভম্ব হয়ে পড়েছিলেন।

কিউসি অনার জাহাজটির মালিক ছিল সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবার এবং সে ঘটনার রাতেই জাহাজটি চট্টগ্রামে নোঙর করে। এ দুটি মিলই যথেষ্ট ছিল এই মতলববাজদের জন্য। কিন্তু তলিয়ে দেখেনি যে, কনটেইনারবাহী জাহাজ কখনোই বহির্নোঙরে এভাবে কনটেইনার খালাস করতে পারে না।

এই হলো প্রথম আলোর বুদ্ধিবৃত্তিক ইতরামি, যার মাধ্যমে জাতিকে আজ ৫০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে। শয়তানের অনিষ্ট থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই শয়তানের পূজা (Devil worship) করাকে সাময়িক নাজাতের উপায় গণ্য করছেন। কিন্তু এই মিডিয়া শয়তান বা সীমারকে প্রতিরোধ করার কার্যকর উপায় বের করাই আসল সমাধান। কাজটি কঠিন কিন্তু অসম্ভব নয়।

বিষয়:

মতামত
ad
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত