মুহাম্মদ আল বাহলুল
ফিলিস্তিনের গাজা শহরের আল-জায়তুন মহল্লায় ছিল আদ-দুস পরিবারের বাস। বৃদ্ধ আওনি আদ-দুস ও তার স্ত্রী ইবতিসাম থাকতেন তাদের ছেলে আদিলের পরিবারের সঙ্গে। আদিলের পরিবারে ছিল তার স্ত্রী ইলহাম ও তাদের পাঁচ সন্তান। দাদির নামে নাম রাখা সবার বড় ইবতিসাম ছিল ১৭ বছরের।
অন্যদিকে সবার ছোট আদমের বয়স হয়েছিল দেড় বছর। ৭ অক্টোবর ইসরাইলি বিমান হামলায় ৯ সদস্যের এই পরিবারের সবাই নিহত হন। আদ-দুস পরিবারের মতো গাজার এক হাজার চারশর বেশি পরিবার সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় গত ১৪ মাসের ইসরাইলি বর্বর হামলায়। ইসরাইলি গণহত্যা চলমান রয়েছে, কিন্তু বিশ্ববিবেক এ ব্যাপারে নীরব।
গত বছর ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় আগ্রাসন শুরু করে ইসরাইল। সেই থেকে ৩৬০ বর্গকিলোমিটারের ছোট এই ভূখণ্ডে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে আসছে বর্বর ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। ইসরাইলি বাহিনীর এই আগ্রাসনে এরই মধ্যে ২৩ লাখ জনসংখ্যার গাজা উপত্যকায় নিহত মানুষের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছাড়িয়েছে। প্রতি ৫১ জনের মধ্যে একজন নিহত হয়েছে।
ইসরাইলি সরকারের দাবি অনুসারে, ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরাইলি ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলোর হামলার প্রতিক্রিয়া এবং ধরে নিয়ে যাওয়া পণবন্দিদের মুক্ত করার জন্য অভিযান চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী।
কিন্তু দীর্ঘ ১৬ বছর অবরোধের মধ্যে থাকা গাজার অসহায় সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচার হামলা প্রমাণ করছে, ছোট এই ভূখণ্ডের বাসিন্দাদের নিশ্চিহ্ন করাই যেন এই আগ্রাসনের একমাত্র লক্ষ্য।
২০০৬ সালে ফিলিস্তিনের সাধারণ নির্বাচনে স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস জয়লাভ করার পরেও তাদের সরকারকে চলতে দেওয়া হয়নি। এর ফলে ২০০৭ সালে প্রতিদ্বন্দ্বী ফিলিস্তিনি গ্রুপগুলোর মধ্যে সংঘর্ষের জেরে ফাতাহ পশ্চিম তীর দখল করে নিলে গাজার নিয়ন্ত্রণ নেয় হামাস।
তখন থেকে মিসরকে সঙ্গে নিয়ে গাজার ওপর কঠিন অবরোধ চাপিয়ে দেয় ইসরাইল। ২০০৭ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এই অবরোধে নিয়মিত বিরতিতে গাজায় বোমা ও বিমান হামলা চালায় ইসরাইল।
অন্তত চারবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের মানুষের ওপর বড় আকারে আগ্রাসন চালায় ইসরাইলিরা। আত্মরক্ষার অধিকারের নামে শিশু, নারী, বৃদ্ধসহ সব ফিলিস্তিনিকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে তারা।
ইসরাইলের নিয়মিত এই আগ্রাসনের প্রতিরোধের লক্ষ্যে এক হয়ে দাঁড়ায় গাজাভিত্তিক সব ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা থেকে বেরিয়ে ইসরাইলের মূল ভূখণ্ডে অভিযান চালায় স্বাধীনতাকামী যোদ্ধারা। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার তথ্য অনুযায়ী, এক হাজার ১৩৯ ইসরাইলি বাসিন্দা এই অভিযানে প্রাণ হারান।
অন্যদিকে, অন্তত ২৪০ ইসরাইলিকে পণবন্দি করে গাজায় নিয়ে আসে স্বাধীনতাকামী যোদ্ধারা। পণবন্দিদের বিনিময়ে ইসরাইলি কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তির দাবি করে হামাসসহ অন্য স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলো।
ইসরাইলে অভিযান চালানোর পরপরই গাজায় সর্বাত্মক আগ্রাসন শুরু করে ইসরাইলিরা। হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, কলেজ, মসজিদ, গির্জাসহ সবকিছু লক্ষ করে হামলা শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী।
গাজায় ১৪ মাস ধরে চলমান এই আগ্রাসনে পুরো উপত্যকায় ৮৫ হাজার টনের বেশি বোমা ফেলা হয়েছে। ইনভায়রনমেন্টাল কোয়ালিটি অথরিটির তথ্য অনুসারে, পুরো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যে পরিমাণ বোমা সারাবিশ্বে ফেলা হয়েছে, গাজায় এর চেয়েও বেশি বোমা ফেলা হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয়কারী দপ্তর ওসিএইএর তথ্য অনুসারে, চলমান ইসরাইলি হামলায় গাজার ৮৭ ভাগ আবাসিক ভবন, ৮০ ভাগ বাণিজ্যিক ভবন ও ৬৮ ভাগ সড়ক সংযোগ ধ্বংস হয়ে গেছে। গাজার মোট ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে ১৯টিই বন্ধ হয়ে গেছে। অপর ১৭টি হাসপাতাল আংশিকভাবে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে।
গাজায় ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, শুক্রবার পর্যন্ত ইসরাইলি আগ্রাসনে অন্তত ৪৫ হাজার ২০৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অপরদিকে আহত হয়েছেন এক লাখ সাত হাজার ৫১২ জন।
আর সব গাজাবাসীর মতোই স্থানীয় সাংবাদিকরাও ইসরাইলি লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছেন। গাজার মিডিয়া অফিসের তথ্য অনুসারে, এক বছরের বেশি চলমান এই আগ্রাসনে মোট ১৯৬ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। আর সব সংঘাতগ্রস্ত অঞ্চলের তুলনায় গাজায় সাংবাদিক নিহতের এই হার সর্বাধিক।
সরাসরি হামলাই শুধু নয়, দুর্ভিক্ষকেও অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরাইলিরা। ওসিএইএর তথ্য অনুসারে, গাজার ৬৮ ভাগ শস্যক্ষেত ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। অন্যদিকে গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোও দুঃসাধ্য করে তুলেছে ইসরাইলিরা। এর জেরে গাজার ৯৬ ভাগ বাসিন্দাই খাদ্যস্বল্পতার মুখে পড়েছে।
চলতি বছরের মার্চে সহায়তা সংগঠন এএনইআরএর প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, উপত্যকার মোট ৭০০ কূপ ধ্বংস করেছে ইসরাইল। গাজার ৯৫ ভাগ বাসিন্দাই বিশুদ্ধ পানি থেকে মাসের পর মাস বঞ্চিত হচ্ছে।
গাজায় এই আগ্রাসনের প্রভাব শুধু গাজাতেই থাকেনি, অধিকৃত পশ্চিম তীর ভূখণ্ডেও ছড়িয়েছে। গাজায় আগ্রাসনের জেরে পশ্চিম তীরের বিভিন্ন স্থানে ফিলিস্তিনি বসতিতে হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী ও ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীরা। বিভিন্ন সময়ে পশ্চিম তীরে এই হামলায় গত এক বছর দুই মাসে অন্তত ৮১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অপরদিকে আহত হয়েছেন ছয় হাজার ২৫০ ফিলিস্তিনি।
গাজায় ইসরাইলের এই আগ্রাসন সাম্প্রতিক ইতিহাসে নজিরবিহীন। একুশ শতকের নির্মমতম গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ হিসেবে গাজায় ইসরাইলের এই আগ্রাসন চিহ্নিত হয়ে থাকবে। কিন্তু বিশ্ববিবেক এ ব্যাপারে নীরবতা পালন করছে। হত্যা বন্ধে কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
ফিলিস্তিনের গাজা শহরের আল-জায়তুন মহল্লায় ছিল আদ-দুস পরিবারের বাস। বৃদ্ধ আওনি আদ-দুস ও তার স্ত্রী ইবতিসাম থাকতেন তাদের ছেলে আদিলের পরিবারের সঙ্গে। আদিলের পরিবারে ছিল তার স্ত্রী ইলহাম ও তাদের পাঁচ সন্তান। দাদির নামে নাম রাখা সবার বড় ইবতিসাম ছিল ১৭ বছরের।
অন্যদিকে সবার ছোট আদমের বয়স হয়েছিল দেড় বছর। ৭ অক্টোবর ইসরাইলি বিমান হামলায় ৯ সদস্যের এই পরিবারের সবাই নিহত হন। আদ-দুস পরিবারের মতো গাজার এক হাজার চারশর বেশি পরিবার সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় গত ১৪ মাসের ইসরাইলি বর্বর হামলায়। ইসরাইলি গণহত্যা চলমান রয়েছে, কিন্তু বিশ্ববিবেক এ ব্যাপারে নীরব।
গত বছর ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় আগ্রাসন শুরু করে ইসরাইল। সেই থেকে ৩৬০ বর্গকিলোমিটারের ছোট এই ভূখণ্ডে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে আসছে বর্বর ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। ইসরাইলি বাহিনীর এই আগ্রাসনে এরই মধ্যে ২৩ লাখ জনসংখ্যার গাজা উপত্যকায় নিহত মানুষের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছাড়িয়েছে। প্রতি ৫১ জনের মধ্যে একজন নিহত হয়েছে।
ইসরাইলি সরকারের দাবি অনুসারে, ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরাইলি ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলোর হামলার প্রতিক্রিয়া এবং ধরে নিয়ে যাওয়া পণবন্দিদের মুক্ত করার জন্য অভিযান চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী।
কিন্তু দীর্ঘ ১৬ বছর অবরোধের মধ্যে থাকা গাজার অসহায় সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচার হামলা প্রমাণ করছে, ছোট এই ভূখণ্ডের বাসিন্দাদের নিশ্চিহ্ন করাই যেন এই আগ্রাসনের একমাত্র লক্ষ্য।
২০০৬ সালে ফিলিস্তিনের সাধারণ নির্বাচনে স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস জয়লাভ করার পরেও তাদের সরকারকে চলতে দেওয়া হয়নি। এর ফলে ২০০৭ সালে প্রতিদ্বন্দ্বী ফিলিস্তিনি গ্রুপগুলোর মধ্যে সংঘর্ষের জেরে ফাতাহ পশ্চিম তীর দখল করে নিলে গাজার নিয়ন্ত্রণ নেয় হামাস।
তখন থেকে মিসরকে সঙ্গে নিয়ে গাজার ওপর কঠিন অবরোধ চাপিয়ে দেয় ইসরাইল। ২০০৭ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এই অবরোধে নিয়মিত বিরতিতে গাজায় বোমা ও বিমান হামলা চালায় ইসরাইল।
অন্তত চারবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের মানুষের ওপর বড় আকারে আগ্রাসন চালায় ইসরাইলিরা। আত্মরক্ষার অধিকারের নামে শিশু, নারী, বৃদ্ধসহ সব ফিলিস্তিনিকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে তারা।
ইসরাইলের নিয়মিত এই আগ্রাসনের প্রতিরোধের লক্ষ্যে এক হয়ে দাঁড়ায় গাজাভিত্তিক সব ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা থেকে বেরিয়ে ইসরাইলের মূল ভূখণ্ডে অভিযান চালায় স্বাধীনতাকামী যোদ্ধারা। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার তথ্য অনুযায়ী, এক হাজার ১৩৯ ইসরাইলি বাসিন্দা এই অভিযানে প্রাণ হারান।
অন্যদিকে, অন্তত ২৪০ ইসরাইলিকে পণবন্দি করে গাজায় নিয়ে আসে স্বাধীনতাকামী যোদ্ধারা। পণবন্দিদের বিনিময়ে ইসরাইলি কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তির দাবি করে হামাসসহ অন্য স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলো।
ইসরাইলে অভিযান চালানোর পরপরই গাজায় সর্বাত্মক আগ্রাসন শুরু করে ইসরাইলিরা। হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, কলেজ, মসজিদ, গির্জাসহ সবকিছু লক্ষ করে হামলা শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী।
গাজায় ১৪ মাস ধরে চলমান এই আগ্রাসনে পুরো উপত্যকায় ৮৫ হাজার টনের বেশি বোমা ফেলা হয়েছে। ইনভায়রনমেন্টাল কোয়ালিটি অথরিটির তথ্য অনুসারে, পুরো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যে পরিমাণ বোমা সারাবিশ্বে ফেলা হয়েছে, গাজায় এর চেয়েও বেশি বোমা ফেলা হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয়কারী দপ্তর ওসিএইএর তথ্য অনুসারে, চলমান ইসরাইলি হামলায় গাজার ৮৭ ভাগ আবাসিক ভবন, ৮০ ভাগ বাণিজ্যিক ভবন ও ৬৮ ভাগ সড়ক সংযোগ ধ্বংস হয়ে গেছে। গাজার মোট ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে ১৯টিই বন্ধ হয়ে গেছে। অপর ১৭টি হাসপাতাল আংশিকভাবে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে।
গাজায় ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, শুক্রবার পর্যন্ত ইসরাইলি আগ্রাসনে অন্তত ৪৫ হাজার ২০৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অপরদিকে আহত হয়েছেন এক লাখ সাত হাজার ৫১২ জন।
আর সব গাজাবাসীর মতোই স্থানীয় সাংবাদিকরাও ইসরাইলি লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছেন। গাজার মিডিয়া অফিসের তথ্য অনুসারে, এক বছরের বেশি চলমান এই আগ্রাসনে মোট ১৯৬ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। আর সব সংঘাতগ্রস্ত অঞ্চলের তুলনায় গাজায় সাংবাদিক নিহতের এই হার সর্বাধিক।
সরাসরি হামলাই শুধু নয়, দুর্ভিক্ষকেও অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরাইলিরা। ওসিএইএর তথ্য অনুসারে, গাজার ৬৮ ভাগ শস্যক্ষেত ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। অন্যদিকে গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোও দুঃসাধ্য করে তুলেছে ইসরাইলিরা। এর জেরে গাজার ৯৬ ভাগ বাসিন্দাই খাদ্যস্বল্পতার মুখে পড়েছে।
চলতি বছরের মার্চে সহায়তা সংগঠন এএনইআরএর প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, উপত্যকার মোট ৭০০ কূপ ধ্বংস করেছে ইসরাইল। গাজার ৯৫ ভাগ বাসিন্দাই বিশুদ্ধ পানি থেকে মাসের পর মাস বঞ্চিত হচ্ছে।
গাজায় এই আগ্রাসনের প্রভাব শুধু গাজাতেই থাকেনি, অধিকৃত পশ্চিম তীর ভূখণ্ডেও ছড়িয়েছে। গাজায় আগ্রাসনের জেরে পশ্চিম তীরের বিভিন্ন স্থানে ফিলিস্তিনি বসতিতে হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী ও ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীরা। বিভিন্ন সময়ে পশ্চিম তীরে এই হামলায় গত এক বছর দুই মাসে অন্তত ৮১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অপরদিকে আহত হয়েছেন ছয় হাজার ২৫০ ফিলিস্তিনি।
গাজায় ইসরাইলের এই আগ্রাসন সাম্প্রতিক ইতিহাসে নজিরবিহীন। একুশ শতকের নির্মমতম গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ হিসেবে গাজায় ইসরাইলের এই আগ্রাসন চিহ্নিত হয়ে থাকবে। কিন্তু বিশ্ববিবেক এ ব্যাপারে নীরবতা পালন করছে। হত্যা বন্ধে কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া হত্যার কথা স্বীকার করেছে ইসরাইল। সোমবার ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এক বিবৃতিতে ওই হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
১ দিন আগেচলমান রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করার লক্ষ্য নিয়েই এই আলোচনা শূরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন উভয় পক্ষের নেতারা।
১ দিন আগেব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলের গ্রামাদো বাণিজ্যিক নগরীতে একটি ছোট বিমান বিধ্বস্ত হয়ে একই পরিবারের ১০ সদস্য নিহত হয়েছেন।
২ দিন আগেজো বাইডেন ইউক্রেনকে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার গভীরে হামলার অনুমতি দিয়েছেন। রাশিয়ায় উত্তর কোরিয়ান সেনা মোতায়েনের জবাবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
৪ দিন আগে